আজকাল মানুষের জীবন বড়ই অনিশ্চিত। ভাবলেই যেন বুক কেঁপে উঠছে। গতকালও যিনি গান শুনিয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে(KK) প্রসঙ্গে। গানের সাথেই ছিল তার আত্মার সম্পর্ক। মৃত্যুর আগেও গতকাল কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন শিল্পী।
নব্বইয়ের দশকের গোটা জেনারেশনের কাছে কে কে শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি হলেন আবেগের আর এক নাম, আবার কারও রাত জাগার সঙ্গীও বটে। কে কে-র প্রয়াণে ক্ষত বিক্ষত ভক্তদের মন। এই শূন্যতা অপূরণীয়। অনুরাগীদের একটা বড় অংশের মতে এভাবেই ধীরে ধীরে হচ্ছে শেষ হয়ে যাচ্ছে ছোটবেলা।
পর দুদিন অর্থাৎ সোমবারের পর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও ঠাকুরপুকুরের গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানের গান গাইতে নজরুল মঞ্চেই (Nazrul Mancha) হাজির হয়েছিলেন কেকে। প্রতি বারের মতো মতো এবারেও তাঁর গান মন ছুঁয়ে যায় দর্শকদের। কিন্তু তখন কে জানতো নিজের গাওয়া গানের কলি সত্যি করে এমন অসময়ে চিরকালের জন্য চিরঘুমে চলে যাবেন তিনি।
তাই কলকাতাবাসীর কাছে কে কে -এর এই গানের সফর শেষের ঘটনা একটু বেশীই বেদনাদায়ক। এদিনের শ্রোতাদের জন্য ২০ টি গানের (20 Song) তালিকা করেছিলেন কেকে। জানা যাচ্ছে, শো চলাকালীন শেষ ৩-৪টি গান গাওয়ার আগে একটু অসুস্থ বোধ করায় ব্যাকস্টেজে বিশ্রামও নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই আবার অনুষ্ঠান শেষ করতে স্টেজে উঠে আসেন কেকে। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে কে কে -এর তৈরি ২০ টি গানের তালিকা। এদিন মঞ্চে উঠে প্রথমেই কেকে গেয়ে ওঠেন ঝঙ্কার বিটসের ‘তু আশিকি হ্যায়’ গানটি। এইভাবেই একের পর এক গেয়ে চলেন, ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়’, ‘দিল এবাদত’, ‘মেরে বিনা’, ‘লাবো কো’, ‘তুহি মেরি শব হ্যায়’, ‘আঁখোমে তেরি আজব সি আদায়ে হ্যায়’। কেকের গাওয়া শেষ গানটি (Last Song) ছিল, ‘হাম রহেঁ ইয়া না রহেঁ কাল’। গানের শেষ লাইনে নিজে থেকে গেয়ে উঠে ছিলেন, ‘ইয়াদ আয়েঙ্গে কলকাতাকে পল।’ সেই মুহুর্ত গুলিই বারবার ঘুরে ফিরে আসছে গতকালের নজরুল মঞ্চের শ্রোতাদের।