গান ভালোবাসে অথচ কেকে’র (KK) গান শোনেননি এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া অসম্ভব। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত একাধিক দুর্দান্ত গান উপহার দিয়েছেন কেকে তথা কৃষ্ণকুমার কুন্নাত (Krishnakumar Kunnath)। সেই সমস্ত গান সুখ দুঃখ থেকে শুরু করে সব রকম সময় এর সঙ্গী হয়েছে শ্রোতাদের। দিনেও কলকাতা এসেছিলেন নিজের অসংখ্য শ্রোতাদেরগানের জাদুতে মুগ্ধ করতে। কিন্তু এভাবে যেতিনি সকলকে কাঁদিয়ে চলে যাবেন সেটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি।
গানের সাথেই ছিল তার আত্মার সম্পর্ক। মৃত্যুর আগে পর্যন্তও সেদিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানে গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন শিল্পী। নব্বইয়ের দশকের গোটা জেনারেশনের কাছে কে কে শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি হলেন আবেগের আর এক নাম, আবার কারও রাত জাগার সঙ্গীও বটে। কে কে-র প্রয়াণে ক্ষত বিক্ষত ভক্তদের মন। এই শূন্যতা অপূরণীয়। অনুরাগীদের একটা বড় অংশের মতে এভাবেই ধীরে ধীরে হচ্ছে শেষ হয়ে যাচ্ছে ছোটবেলা। কিন্তু চিরকালের মতো থেমে গিয়েছে তার কন্ঠ।
আর কখনও ওই জাদু কণ্ঠে গান শোনা হবেনা শ্রোতাদের। তারা অধীর আগ্রহেই অপেক্ষায় ছিলেন কবে মুক্তি পাবে কেকের শেষ গান। জানা যাচ্ছে, সলমনের ছবির জন্যই শেষ রেকর্ডিং সেরে রেখেছিলেন কেকে। সূত্রের খবর, সলমন খান ও ক্যাটরিনা কাইফের নতুন ছবি ‘টাইগার থ্রি’ ছবিতেই শেষ বারের মত শোনা যাবে কেকের গান।
কেকের গাওয়া গানেই নাকি চুটিয়ে রোমান্স করবেন প্রাক্তন জুটি সলমন ক্যাটরিনা৷ ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ইদে। সলমন খানের (Salman Khan) ঠোঁটে ‘হা’ম দিল দে চুকে’ সনম ছবিতে ‘তড়প তড়প’ গানটিই বড় ব্রেক ছিল কেকের কাছে। তারপর ‘তেরে নাম’, ‘ও জানা’, ‘রে’ডি’ ছবির ‘হা’মকো পেয়ার হুয়া’, ‘এক থা টাইগার’, ‘বজর’ঙ্গি ভাইজান’, ‘টিউবলাইট’ ছবিতেই সলমনের লিপে শোনা গিয়েছিল কেকের গান। জীবনের শেষ রেকর্ডিংও সলমনের জন্যই করলেন তিনি।