বাঙালি পরিবারে ছুটি মানেই রবিবার, অন্য দিনের তুলনায় রবিবার হোক বা যেকোনো ছুটির দিন আমেজটাই একটু আলাদা হয়। বিশেষ করে ছোটদের কাছে ছুটির দিনের সংজ্ঞাটা একটু আলাদাই। এখন যেমন টিভির পর্দায় একাধিক সিরিয়াল রয়েছে বিনোদনের জন্য তেমনি একসময় ছোটদের জন্যও দুর্দান্ত সময় পোগ্রাম হত। তারই মধ্যে একটি ‘লক্ষী ছানা’ (Lokkhi Chana), যার সঞ্চালনা করতেন নীল মুখার্জী (Neel Mukherjee)।
ছোটদের পোগ্রাম হলেও বাচ্চা থেকে বড় সকলেই দেখতে পছন্দ করতেন এই শো। আকাশ বাংলার পর্দায় বহু বছর আগে সম্প্রসারিত হত এই শো। শোটিকে একপ্রকার ছোটদের রিয়্যালিটি শো (Kids Reality Show) বলা যেতে পারে। যেখানে খুদেদের ডেকে নানান মজার খেলা ও প্রশ্ন করা হত। এমনকি কচি কাচাদের বাবা মায়েদের ডাকা হত আদালতে, চলত বিচার। আর খেলার শেষে থাকত মজার সমস্ত পুরস্কার।
লক্ষী ছানা সঞ্চালক হিসাবে একসময় দর্শকদের মন ছুঁলেও নীল মুখার্জীর কিন্তু আরও অনেক কারণে জনপ্রিয়। বাংলা নাট্য জগতের সৃজন মুখোপাধ্যায় নামেও পরিচিত তিনি। নাটকের মঞ্চ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের পর্দা এমনকি রুপোলি পর্দাতেও দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জিতেছেন তিনি। এমনকি নতুন যুগের বিনোদন মাধ্যম ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও কাজ করে ফেলেছেন তিনি।
উমা, টনিক, হামি, জুলফিকার, ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা এর মত একাধিক বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও ‘দেবী চৌধুরানী’, ‘গঙ্গারাম’, ‘জীবনসাথী’ এর মত সিরিয়ালেও দেখা গিয়েছে তাকে। বর্তমানে কালার্স বাংলার পর্দায় মৌ এর বাড়ি সিরিয়ালে আছেন তিনি। তবে এবার আবারও এক নতুন সিরিয়ালে দেখা যাবে অভিনেতাকে। ইতিমধ্যেই সেই সুখবর মিলেছে।
মিঠাই সিরিয়ালের ভিলেন ‘ওমি’ অভিনেতা জন ভট্টাচার্য (Jhon Bhattacharya) ও দেবাদৃতা বসু (Debadrita Basu) জুটি বাঁধছেন নতুন সিরিয়ালে। সান বাংলার পর্দায় শুরু হতে চলেছে ‘আলোর ঠিকানা’ (Alor Thikana), সেখানেই দেখা যাবে নীল মুখার্জীকে। আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সিরিয়ালে নতুন জুটিকে দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকরা।
সিরিয়ালে কাজলের চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবাদৃতা বসু, তার বাবার চরিত্রে থাকছেন নীল মুখার্জী। আর কাজলের বরের চরিত্রে দেখা যাবে জনকে। ইতিমধ্যেই একটি প্রোমো ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বপ্ন পূরণের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তার। তবে যে বাড়িতে বিয়ে হচ্ছে সেখানে ঘর কন্যার কাজ সামলায় ছেলেরা আর মেয়েরা ব্যবসা সামলায়। যদিও সেটা কতটা সত্যি সেটা প্রশ্নের মুখে বোঝাই যাচ্ছে প্রমো দেখলেই।