টিভিতে নানা চ্যানেলে নানা সিরিয়ালের (Serial) ভিড়ে কিছু সিরিয়াল একটু বেশিই মনে ধরে যায় ,এমনই একটি সিরিয়াল হল খড়কুটো (Khorkuto)। ছটফটে গুনগুনের সাথে সৌজন্যের কম্বিনেশনে সিরিয়ালের প্লট জমজমাট। প্রতিটা পর্বই যেন হিট শুধু গুনগুন থাকলেই হল। অবশ্য পরিবারের বাকিরাও কোনো অংশে কম যায় না। সকলে মিলে নানান মজা আর হৈ হুল্লোড় করেই কাটে সারাদিন।
কিছুদিন আগেই গুনগুনের পরিবারে খুশির খবর এসেছে। মা হতে চলেছে মিষ্টি। আর সেই সবের মাঝেই গুনগুনের চেষ্টায় গোটাপরিবারের লোকজনদের নিয়ে স্পোর্টস ডে পালন হচ্ছে। মা বাবা জ্যাঠাই কাকিমনি থেকে শুরু করে সকলকেই এই খেলায় অংশ নিতে হবে। গুনগুনের করা অর্ডার। এরপর খেলাতেও দারুন মজার সমস্ত দৃশ্য চোখে পড়েছে। বিস্কুট দৌড়ে নাজেহাল জ্যাঠাইয়ের।
কিন্তু মুখার্জী বাড়িতে এমন এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে যার জেরে সমস্ত আনন্দ একেবারে ম্লান হয়ে গেছে। প্রায় এক বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ধার করেছিল সৌজন্যের বাবা ভজনবাবু। কিন্তু কেন? হটাৎ করে কি এমন হয়েছিল যার জন্য ১ লক্ষ্য ৬০ হাজার টাকা ধার নিতে হয়েছিল তাকে! তাও আবার বাড়ির কাউকে না জানিয়ে। আর ধার নেবার পর থাকা দিচ্ছিলেন না তিনি। সেই কারণেই টাকা আদায়ের জন্য অফিসে না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছে পাওয়াদাররা।
যেখানে পুজো বাড়ি যাবে বলে বাড়ির সকলে আনন্দিত ছিল। তাছাড়া গুনগুন প্রথমবার নিজে থেকে শাড়ি পরে হাজির হয়েছিল। সেখানে সমস্ত আনন্দতাই যেন ফিকে হয়ে গেল এই ঘটনা সামনে আসার পর। কিন্তু বাড়ির সকলের মনেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে। সেটা হল বরাবর খুব সাধারণভাবেই থাকতে পছন্দ করেন ভজনবাবু।
তাহলে এতগুলো টাকা তিনি কোন কাজে লাগলেন ? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি তিনি। সেই কারণে রাতের বেলায় বাড়ি ছেড়ে চলেও গিয়েছেন তিনি। এখন সিরিয়ালের পর্ব আগে এগোলেই আসল সত্যিটা সামনে আসবে। তবে বাড়ির কিছুজন ক্ষুদ্ধ ও অবাক হলেও গুনগুন কিন্তু বাবার পাশে দাঁড়িয়েছে।