বাংলা বিনোদনের (bengali entertainment) কথা বলতে গেলেই সবার আগে বলতে হয় সিরিয়ালের কথা। কারণ বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের ডেলি ডোস বলতে সিরিয়ালকেই বোঝায়। দিনের শেষে কাজ মিটিয়ে বাড়ির মেয়েরা থেকে ছেলেরা সিরিয়াল দেখতে বসে পরে। তাছাড়া লকডাউন আর আংশিক লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে বসে সকলে একসাথে সিরিয়াল দেখার প্রবণতা বেড়েছে বৈকি! আর বাঙালিদের প্রিয় সিরিয়ালের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে খড়কুটো (khorkuto)।
সিরিয়ালে খানিক অবুঝ আর অনেকটা পাগলামিতে ভরা গুনগুনের সাথে সৌজন্যের (soujanyo gungun) কেমিস্ট্রি বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের। শুরুর দিকে একের পর এক ছক্কা হাকিয়েছিল খড়কুটো। জনপ্রিয় সিরিয়ালের তালিকায় একেবারে প্রথম তিনেই থাকত সে।তবে সিরিয়ালের কিছু প্লট চেঞ্জের কারণে কিছুটা ওঠা নামা করেছে টিআরপি। অবশ্য সে সব সামলে এখন আবার ব্যাক টু ট্র্যাক সৌজন্য-গুনগুন।
একসময় গুনগুনের দাবি ছিল, তাঁর আর বাবিনের নাকি ঝড়গড়াই হয় না। তবে এখন কিন্তু তার একেবারেই উল্টোটা হয়, বাবিন অর্থাৎ সৌজন্যকে ভালোবেসে ফেলেছে গুনগুন। তাই তিন্নি দিদির কথা শুনলেই চন্ডি রূপ ধারণ করে গুনগুন। তার সাথে বিয়ে করে তিন্নি দিদির কথা কোনো মতেই তোলা যাবে না। কিছুদিন আগেই ডিভোর্স নিয়ে চলছিল জোরদার ঝামেলা। সে ঝামেলা এখন মিটেছে।
সৌজন্য নাকি তিন্নির সাথে বিদেশে যাবে। এই শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে গুনগুন। তাকে বিয়ে করে কেন অন্য কারোর সাথে ভালো থাকবে সৌজন্য! এতো মোটেও হতে দেবে না সে। আসল কারণ অবশ্য ভালোবাসা, যেটার বন্ধনে দুজনেই জড়িয়েছে। তাই তো সৌজন্যের প্রজেক্টের সাফল্যের পার্টিতে একসাথে হাজির হয়েছে দুজন। আর তিন্নি গুনগুনকে অপমান করায় সরব হয়েছে সৌজন্য। এরপর অবশ্য গুনগুনও একেবারে ধুয়ে দিয়েছে তিন্নিকে।
সিরিয়ালের এই পর্ব দেখে বেশ খুশি খড়কুটোপ্রেমীরা। নানা জটিলতার মাঝে দর্শকেরা সৌগুনের এই খুনসুটি, ঝগড়া আর ভালোবাসার ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই মিস করছিল। আর সেই পুরোনো গুনগুনকে ফিরে পেয়ে যেমন খুশি সৌজন্য ও তার পরিবার তেমনই খুশি বাঙালি দর্শকেরাও।