বাঙালির অবসর যাপনের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম হল সিরিয়াল। তাই সারাদিন সবাই যতই কাজের মধ্যে থাকুন না, অবসর মিলতেই টিভির সামনে বসে পড়েন সিরিয়ালের পোকা দর্শকরা। তাই প্রতিদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই প্রত্যেক বাড়িরই ড্রয়িং রুমে চায়ের আড্ডার সাথে চলতে থাকে একের পর এক পছন্দের সিরিয়াল।কর্মব্যস্ত জীবনে একমুঠো অক্সিজেনের মতো কাজ করে এই সিরিয়ালগুলি।
তাই টিভির পর্দায় প্রিয় চরিত্রদের না দেখা পর্যন্ত গোটা দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় দর্শকদের। সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে দারুন পছন্দের এমনই একটি সিরিয়াল হল খড়কুটো। এই সিরিয়ালে সৌগুন জুটি ছাড়াও বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিয়ালের সাঁজি আর স্রোতের চরিত্র। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে ঠক, যোচ্চর স্রোতের নিজের জেদের বশে বিয়ে করেছে সাঁজি।
আর বিয়ের পর থেকেই আস্তে বরের আসল মুখোশ টা খুলে যাচ্ছে সাঁজির সামনে। এরই মধ্যে বিয়ের পর প্রথম শ্বশুর বাড়ি পা রাখার পর থেকে স্বামী শ্বশুর শাড়ির ব্যাবহার দেখে নিজেই নিজের মনের মধ্যে গুমরে গুমরে মরছে সাঁজি। নতুন বৌদ্ধ য়ের জন্য ফুটপাতের সস্তা বেনারসি থেকে নকল গয়না সবটা দেখার পর থেকে সত্যি টা বুঝতে আর কিছুই বাকি নেই সাঁজির।
এরপর বাড়ির সবাই চলে যাওয়ার পর ফুলসজ্জার রাতেই আবার নানান ছলচাতুরি করে সাঁজিকে তার বাড়ির থেকে টাকা আনতে বলে। শুধু তাই নয় কোনো রাখঢাক না রেখেই নিজের আসল স্বরূপ নিজের সাঁজির সামনে নিয়ে আসে স্রোত।
বিয়ের প্রথম রাতেই বৌয়ের থেকে টাকাপয়সা থেকে গয়না গাঁটি চাইতে এতটুকু বাঁধে না তার। এমনকি তার একের পর এক দাবি মুখের ওপরে মানতে না চাইলে সাঁজির গালে সপাটে চড় কষাতেও বাঁধে না স্রোতের। ফুলসজ্জার রাতেই বধূ নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য করতে বাধে না পেশায় তথাকথিত প্রফেসর স্রোতের।
View this post on Instagram