জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল খরকুটোতে (khorkuto) দেখানো হচ্ছে সৌজন্য ও গুনগুনের (saujanyo gungun) বিবাহ বিচ্ছেদের পর্ব। দুজনের একে অপরকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছে অনেকটাই । তবু ভালোবাসার কথা মনে এলে মুখতিয়ার এসে পৌছাল না! মনের কথা থেকে গেল মনেই, তাই অভিমানের পাহাড়ের কাছে নতি স্বীকার করল বিবাহসম্পরক। গুনগুনকে ডিভোর্সের পেপারে সই করে দিয়েছে সৌজন্য।
এরপর সুজন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিজের বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছে গুনগুন। গুনগুনের বাবার মতে তিনি মেয়েরা আবার বিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যেই বিয়ের তারিখ ও পাত্র উভয়ই ঠিক হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে আর গুনগুনের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই দ্বিতীয়বার বিয়ে হতে চলেছে গুনগুনের। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সৌজন্যে বা গুনগুন দুজনের কেউই।

অথচ একে অপরের প্রতি রাগ আর অভিমান নিয়েই সম্পর্কটাকে ভেঙে যেতে দিচ্ছে তারা। গুনগুনের মতে হয়তো তিনি যদি কেই ভালোবাসে সৌজন্য। আর সৌজন্যে মতে গুনগুন হিট তাকে ভালোবাসেই না! কিন্তু একেওপরের সাথে থাকতে থাকতে দুটো আলাদা মানুষ যে কখন এক হয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারেনি কেউই, তাই তো আজ বরহ যন্ত্রণায় কতর দুজনেই।
View this post on Instagram
সম্প্রতি সিরিয়ালের একটি দৃশ্য খড়কুটো ফাঁপেজের দ্বারা ধরে করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গুনগুন চলে যাওয়ায় মন থেকে ভেঙে পড়েছে সৌজন্য। আর পটকা, মিষ্টি থেকে শুরু করে বাড়ির সকলেই এসে হাজির হয়ছে সেখানে। তারপর পটকা বলে ওঠে, কি সর্বনাশটাই না করে দিয়ে চলে গেল গুনগুন। পটকার কথায় সায় দিয়ে সৌজন্য বলে, সত্যিই পটকা এতদিন ছিল বুঝতে পারিনি। তবে আজ চলে যাবার পর বুঝতে পারছি আমার কতটা জুড়ে ছিল গুনগুন, অনেকটা জুড়েই ছিল সে।

সৌজন্যে মুখে গুনগুনের সম্বন্ধে এই কথা শুনে কোথায় সান্তনা দেওয়ার কথা পটকা থেকে শুরু করে বাকি সকলের! তার বদলে সকলে মিলে সবাই হাসাহাসি শুরু করে। সিরিয়ালের এই দৃশ্যটা একেবারেই পছন্দ হয়নি কিছু দর্শকদের। কারণ এমন একটা পরিস্থিতিতে যেখানে কোন এক ব্যক্তি মনে দুঃখ পেয়েছে তার দুঃখ কে নিয়ে মজা বা খিল্লি উড়ানো একেবারেই উচিত নয়। যদিও সিরিয়ালের মজার ছলেই এই দৃশ্য দেখানো হয়েছে তাও এই ঘটনা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। আর এই মন্তব্যের সাথে অনেকেই একমত হয়েছেন তেমনটাই দেখা যাচ্ছে ভাইরাল ভিডিও কমেন্ট বক্সে।














