বাংলা চ্যানেলে নানা সিরিয়ালের (Serial) ভিড়ে কিছু সিরিয়াল একটু বেশিই মনে ধরে যায় ,এমনই একটি সিরিয়াল হল খড়কুটো (Khorkuto)। সিরিয়ালে গুনগুন আর সৌজন্যের জুটি দর্শকদের মন জয় করতে বেশ সার্থক হয়েছে। কিন্তু সিরিয়ালের গল্পের যেন খেই হারিয়ে যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। খুনসুঁটি আর রোমান্সের পালা উধাও হয়ে জটিলতা চলে আসছে তাই দর্শকের মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো।
তবে এবার আর নয়, বর্ষার মরশুমে দর্শকদের বহু প্রতীক্ষিত রোমান্টিক দৃশ্যে দেখা গেল গুনগুন সৌজন্যকে। তবে বৃষ্টির রাতে রোমান্সের মধ্যেও খুনসুঁটি করা থেকে কম যায়নি সৌজন্য। গুনগুন বাজ পড়ায় খুব ভয় পায়। তাই রাতে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়ে রীতিমত ঠাকুরকে ডাকতে শুরু করেছে সে। ওদিকে সৌজন্য সেটা বেশ মজায় মজায় উপভোগ করছে।
করবে নাই বা কেন! বজ্রপাতের ভয়েই তো আবার সৌজন্যকে আঁকড়ে ধরল গুনগুন। যদিও রাতে ঘুম আদৌ হয়নি! এতদিনের মান অভিমান ভয়ের চোটে একেবারে ভ্যানিশ। সৌজন্যের সাথে ঝগড়া হোক বা মনকষাকষি, সৌজন্যকে ছাড়তে মোটেও রাজি নোই গুনগুন। একেবারে বাচ্চাদের মত ঝগড়া চলেছে রাতে।
View this post on Instagram
গুনগুনকে মরা মানুষের ভয় দেখাতে গিয়ে সৌজন্য বলেছে, ‘ভালো করে নিজের মনকে প্রশ্ন কর। জেক পছন্দ হয়না তাকে জড়িয়ে ধরতে হচ্ছে বলে? নাকি অন্য কারণে? বাজ পড়লে ভয় পাও আর কাজও পারো না, এই সমস্ত কাজ করার জন্য ডিভোর্স হয়ে গেলেও কি আর সৌজন্যকে পাবে! এদিকে গুনাগুনের মাথায় তখন অন্য প্রশ্ন, ‘তিন্নি দিদিও কি বাজ পড়লে ভয় পেয়ে সৌজন্যকে জড়িয়ে ধরবে?’
এইভাবেই পর্ব এগোতে এগোতে শেষে গুনগুনের ভয় কাটাতে শেষে গান ধরেছেন সৌজন্যবাবু, রিমঝিম গিরে সাওয়ান …। তাহলেই বুঝুন যতই মুখে ভালোবাসি না ডিভোর্স দিতে চায় আসলে মনে কিন্তু সৌজন্যকে ছাড়তে একেবারেই রাজি নয় গুনগুন। তবে যাই হোক খড়কুটোর এই পর্ব দেখে দর্শকের দীর্ঘদিনের আশাটা পূর্ণ হল।