খড়কুটো (khorkuto) সিরিয়াল বর্তমানে জমজমাট! লকডাউনের জেরে শুট ফ্রম হোম থেকে শুরু করে গুনগুন সৌজন্যের ডিভোর্সের ঝামেলা মিলিয়ে কোথাও যেন খেই হারিয়েছিল সিরিয়াল। তবে আর চিন্তা নেই, এবার ব্যাক টু ট্র্যাক খড়কুটো। ইতিমধ্যেই ক্রেজি মানে সৌজন্যের সাথে ফের আগের মত ঝগড়ার ফর্মে ফিরেছে গুনগুন। ঠিক সেই আগের মতোই আবার হাসি খুশি পরিবার হয়ে গিয়েছে খড়কুটো পরিবার।
গুনগুন-সৌজন্যের ডিভোর্স ক্যানসেল, ওদিকে সৌজন্যের প্রজেক্ট দারুণভাবে সফল হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিবারে এখন খুশির হাওয়া। সৌজন্যকে সন্মান জানানোর জন্য দেখে পাঠানো হয়েছে অনুষ্ঠানে। তবে সৌজন্য চাই গুনগুনও তার সাথে যাক। এদিকে গুনগুন কিন্তু যেতে নারাজ, তার নাকি ভালো লাগে না এই সমস্ত পোগ্রাম একেবারেই।
সৌজন্যের রিসার্চ সম্পর্কে কথা বলার সময় হেসেই ফেলেছে গোমড়া মুখ গুনগুন। সৌজন্যের মুখে হাসি দেখেই গুনগুন বলে উঠেছে, ‘রাম গরুড়ের ছানা, হাসতে তাদের মানা। হাসি দেখো না একেবারে ৩২ পাটি অল আউট!’ একথা শুনেই সৌজন্যের মুখের হাসি ভ্যানিশ। অবশ্য প্রজেক্ট সফল হওয়ায় লাখ খানেক টাকা পাবে সৌজন্য তাই বাড়ির সকলকে ট্রিট দেবে ঠিক করেছে সে।
View this post on Instagram
এই খবরে পরিবারের সকলেই বেশ খুশি। সৌজন্যের বাবার ইচ্ছা সমুদ্রে যাওয়া হবে ঘুরতে। তাহলে খানিক তীর্থ ভ্রমণ যেমন হবে তেমনি সমুদ্রের পাড়ে বসে গান গাইতে পারবেন তিনি। এই প্রস্তাবের পরেই গান ধরেছেন ভজনবাবু, ‘বালুকা বেলায় …’। গান শুনেই গুন্গু বলে ওঠে, ‘বাবা এই গানটা তো তুমি আমায় শেখাওনি। এটা আমি শিখবো’। যেমনি বলা তেমনি কাজ ততক্ষনাৎ শশুর মশাইয়ের সাথে গানের রেওয়াজ শুরু করে গুনগুন।
এই গান শুনে পরিবারের বাকিদের মত খচে গিয়েছে সৌজন্যও। তার মতে এমন হেড়ে গলায় বেসুরো চিৎকার আর সহ্য করা যাচ্ছে না! তবে যাই হোক না কেন, দীর্ঘদিন পরে আবার খুশির হাওয়া ফিরে এসেছে খড়কুটো পরিবারে। এবার আগে কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।