স্টার জলসার ( Star Jalsha) জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো'(Khorkuto)। বিয়ের মরশুম শুরু হতেই ফের তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে সিরিয়ালের টিআরপি। প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই ফের সৌজন্যের সাথেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে গুনগুন। ডিভোর্স পেপারে সই করার পরেও শেষ মুহূর্তে বিয়েটা একে অপরের সাথেই করেই ফেলল সৌগুন। দর্শকরাও ঠিক এমন একটা মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন।
সৌজন্য আর গুনগুনকে একে অপরের কাছাকাছি আনতে গুনগুনের ড্যাডি অর্থাৎ কৌশিক পুরো বিষয়টা প্ল্যান করেছিলেন। যা শেষ পর্যন্ত কাজেও আসে। কনের সাজে কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে গুনগুন সৌজন্যকে বলে এই বিয়েটা ভেঙে দিতে। তার খুব কষ্ট হচ্ছে। গুনগুন জানায় সে সৌজন্যর উপর অভিমান করেই এই বিয়েতে হ্যাঁ করেছিল। বিয়ের সেই ঝলক ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেইসাথে ভাইরাল হয়েছে সিরিয়ালের নায়ক ‘সৌজন্য’ ওরফে কৌশিক রায়ের সংলাপও । বৌভাতের রাতে সৌজন্যের দাবি, ‘সবটাই মায়া। এই মায়া বড়ই সর্বনেশে!’ কেন এমন বললেন সৌজন্য? তা জানার মধ্যে নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন কৌতুহল।
গুনগুন সৌজন্যের মান অভিমানের পালায় হঠাৎ করেই চলে আসে পটকা এবং টীমের প্রসঙ্গ।সৌজন্য গুনগুন কে সাফ জানিয়ে দেয় তাঁদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় কেউ যেন না আসে। অন্যদিকে দেখা যায় সৌজন্য গুনগুনের ফুলশয্যার দিকে নজর রাখতে জানলা দিয়ে আড়ি পাততে দাঁড়িয়ে পড়েছে টীম পটকা।
View this post on Instagram
অনেক ঝড় ঝাপ্টা সামলে শেষমেশ চার হাত এক হয়েছে সৌগুনের। কিন্তু ফুলশয্যার খাটে বসেও চোখের জল পড়ছে গুনগুনের। এরপর কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে চলে মান অভিমানের পালা। গুনগুনকে রীতিমতো শাসিয়ে সৌজন্যে বলে দেয় বাড়ির বাইরে এক পা রাখলে সে তার ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবে।এরপর দেখা যায় গুনগুনকে বুকে টেনে নিয়ে সৌজন্য বলছে ‘তোমার সাথে অনেক ঝগড়া করেছি। কিন্তু তোমার সাথে কখন যেন একটা মায়ায় জড়িয়ে গেছি। ওসব ভালোবাসা টালোবাসা বুঝি না, সবটাই মায়া। এই মায়া বড়ই সর্বনেশে!’