বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির তো বটেই, বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ হলেন তৃণা সাহা (Trina Saha)। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের সৌজন্যে তিনি এখন অবশ্য গুনগুন নামেই বেশি পরিচিত। শীঘ্রই আসছে অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’। সিনেমা, সিরিয়ালে অভিনয় করে তৃণা এখন রীতিমতো দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন।
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে তৃণার অনেকগুলো বছর হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন টলি ইন্ডাস্ট্রির দুই নামী পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং অরিন্দম শীলের সঙ্গে। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সিনেমা বা টেলিভিশনের কাজের নিরিখে ভাগাভাগি করার বিপক্ষে সরব হয়েছিলেন।
তৃণা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘সিনেমার অভিনেতা/অভিনেত্রী বা টেলিভিশনের অভিনেতা/অভিনেত্রীদের কি কোনও শ্রেণী দিয়ে ভাগ করা যায়?’ এখানেই থামেননি অভিনেত্রী, আরও বেশ কিছু লাইন যোগ করেছিলেন তিনি।
‘খড়কুটো’র গুনগুনের সংযোজন, ‘সকলেরই তো কাজ মানুষকে এন্টারটেইনমেন্ট উপহার দেওয়া! সকলে নিজের নিজের স্থানে প্রতিষ্ঠিত। তবু কেন সবসময় সিনেমার থেকে টেলিভিশনকে ছোট করে দেখানো হয়? সিনেমা বা টেলিভিশনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কোনও অবকাশ নেই। তাহলে ‘সার্কাস’ থেকে শাহরুখ হতো না। প্রিয় সাংবাদিক মনে রাখবেন, সমালোচনা করতে যোগ্যতা লাগে না, সমালোচিত হতে যোগ্যতা লাগে’।
সম্প্রতি ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’ শেষ হওয়ার আগে ফের একবার এই বিষয়ে মুখ খোলেন তৃণা। টলি ফোকাস কলকাতা নামের একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অভিনেত্রী বলেন, একই মিডিয়া জগতের অংশ হয়ে যখন একজন সাংবাদিক একজন টেলিভিশন শিল্পীর উদ্দেশে এমন কথা বলেছিলেন তখন তাঁর খারাপ লেগেছিল। তবে তিনি রেগে যাননি। পাশাপাশি এও বলেন, তাঁর বক্তব্যের কারণে কারোর যদি খারাপ লেগে থাকে তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
প্রসঙ্গত, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে শাহরুখ-জয়া-অমিতাভের পাশে সিরিয়ালের ‘পঞ্চম শ্রেণী’র অভিনেত্রীদের উপস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন একজন সংবাদমাধ্যমকর্মী। সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে শাহরুখদের সঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন তৃণাও। রানী মুখার্জি এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু ছবি ভাইরালও হয়েছিল। তাই সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি নেটিজেনদের।