‘খড়কুটো’ (Khorkuto) ধারাবাহিকে বর্তমানে সৌজন্যের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা চন্দন সেন (Chandan Sen)। তার সাবলীল অভিনয়, উচ্ছ্বাস, দুর্দান্ত রসবোধ সকলের মন জিতে নিয়েছে নিমেষে। কিন্তু অভিনেতাকে দেখলে বোঝার উপায় নেই, তার ভিতরে বাসা বেঁধে রয়েছে ভয়ঙ্কর ব্যধি ক্যান্সার। গত ১১ বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে চলেছেন অভিনেতা। কেবলমাত্র প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর অদম্য জেদের জোরেই আজ তিনি এই জায়গায়।
তবে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই মোটেও সহজ ছিলনা। টেলিভিশন সিনেমার আগেও চন্দন সেনের প্রথম ভালোবাসা ছিল থিয়েটার। কীভাবে আক্রান্ত হলেন অভিনেতা? একবার এক সাক্ষাৎকারে চন্দন সেন জানিয়েছিলেন, একদিন ঘাড়ের কাছে একটা ফুসকুড়ি নজরে আসে তাঁর। সেটি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। চিকিৎসকের কাছে গেলে বায়োপসির পর জানা যায় তাঁর ফলিকিউলার লিম্ফোমা হয়েছে। একথা জানার পর দমে গিয়েছিলেন অভিনেতা চন্দন সেনের অন্যান্য বন্ধুরা। অস্ত্রপচারটাও অত্যন্ত কঠিন বলে চিকিৎসকরা অভিনেতাকে জানিয়েছিলেন।
সেই সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারত তার ভয়েসবক্স-ও। অর্থাৎ চিরদিনের মতো তিনি হারিয়ে ফেলতেন তার গলার আওয়াজ। তবে ভয়েস বক্স ছাড়া বেঁচে থাকার কোনো মানে হয়না বলেই মনে করেছিলেন অভিনেতা।
তিনি জানেন অপারেশনে তিনি বাঁচলেও আজীবনের জন্য বোবা হয়ে যাবেন, বন্ধ হয়ে যাবে থিয়েটার করা। কিন্তু অদম্য জীবনবোধ নিয়ে তিনি চালিয়ে যান কেমো এবং অভিনয়। ব্যয়বহুল এই খরচ চালাতে না পারায় ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ হাসিমুখে তিনি অভিনয় করে চলেছেন। প্রসঙ্গত, এক শিল্পীর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে নিজের সত্তা বাঁচিয়ে রাখার গল্প উঠে এসেছিল শিবপ্রসাদ নন্দীতার ‘কন্ঠ’ ছবিটিতে৷