কখনও শোনা যায় ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকাদের পাঠিয়েছে বই, নানান ধরনের ফুল। কিন্তু কখনও শুনেছেন ৫টাকার মানি অর্ডারের কথা। মানে, কোন ভক্ত তার প্রিয় তারকারকে পাঠিয়েছে মানি অর্ডার। এমনই এক ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে।
সবাই অবাক যে, এত বড় তারকাকে কেন কেউ ৫-৬ টাকার মানি অর্ডার পাঠাবে? আসলে, মধ্যপ্রদেশের ধড়কান জৈন এই মানি অর্ডার দিয়ে পান মশলার বিজ্ঞাপন না করার জন্য এই তারকাদের কাছে আবেদন করেছে। এখানেই শেষ নয়, মানি অর্ডার পাঠিয়ে এই ঘটনা টুইটারেও পোস্ট করেছে ধড়কান। টুইটারে দুই তারকাকে ট্যাগও করেছেন তিনি।
এর আগেও উঠে এসেছিল টোবেকো ব্র্যান্ডের জন্যে বিজ্ঞাপন করার জন্যে আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন অমিতাভ বচ্চন, অজয় দেবগণ, শাহরুখ খান এবং রণবীর সিং। সম্প্রতি এই চার অভিনেতার বিরুদ্ধে বিহারের মুজ্জাফরপুরের একটি আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তামান্নি হাশমি বলে এক সামাজিক কর্মী চিফ জুডিশিয়ল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এহেন মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের কাছে আবেদনকারীর দাবি, এই সমস্ত অভিনেতারা এই সমস্ত জিনিসের বিজ্ঞাপন করে এবং প্রচার করে তা খাওয়ার জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে।
মধ্যপ্রদেশের ধড়কান জৈন এই প্রতিবাদকেই আরও তীব্র করে দিলেন বলেই মত নেটিজেন্দের একাংশের। ধড়কান বিশ্বাস করেন যে পান মসলা তরুণ প্রজন্মের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। সেজন্য তিনি পাঁচ টাকার মানি অর্ডার পাঠিয়েছেন বড় বড় চলচ্চিত্র তারকাদের। যাতে তারা পান মশলার বিজ্ঞাপন করে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত না করেন।।
ধাড়কান এই কাজটি করেছেন ‘ব্রাদার্স ডে’র দিন। ধাড়কান জানিয়েছে, তিনি তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান, তাই শাহরুখ এবং অজয় দেবগনকে তার ভাই হিসাবে বিবেচনা করেছেন। এই কারণেই তিনি তাকে পাঁচ টাকার মানি অর্ডার পাঠিয়েছেন, কারণ তারা যে পান মসলার বিজ্ঞাপন করছেন তা একেবারে ভুল।
ধড়কানের মতে, অনেক তরুণ-তরুণী এই সেলিব্রেটিদের অনুসরণ করেন। এমতাবস্থায় তারা যদি পান মশলার বিজ্ঞাপন দেয়, তাহলে যুব সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। ধড়কান জৈন বলেছেন যে শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগনেরও অক্ষয় কুমারের মতো প্যান মসলা যোগ করা বন্ধ করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত মাসে অক্ষয় কুমারও অজয় দেবগন এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে টোবাকো ব্র্যান্ড বিমলের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট সাইন করেছিল। এবং তাঁদের বিজ্ঞাপনও সামনে আসে। কিন্তু একই ভাবে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। আর সেই বিতর্কের মধ্যেই কন্ট্রাক্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন অক্ষয় কুমার। এই পোস্টে অভিনেতা লেখেন, কিছু ধরেই আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া রেসপোন্স আমাকে নড়িয়ে দিয়েছে। আমি তামাককে সাপোর্ট করি না এবং আগেও করব না। তবে কিছু আইনি জটিলতার কথা তুলে ধরেন অক্ষয় কুমার। তবে আগামিদিনে এমন বিজ্ঞাপন তিনি যে আর করবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিনেতা