গত এক বছর ধরে বক্স অফিসে শুধুমাত্র দক্ষিণী সিনেমার (South Indian cinema) রাজত্বই চলছে। একের পর এক বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে বলিউডের সিনেমা। তবে কয়েক বছর আগেও কিন্তু চিত্রটা এমন ছিল না। কয়েক বছর আগেও সাউথের সিনেমাকে নিয়ে হিন্দি বলয়ের দর্শকদের অনেকেই মজা করতেন। সম্প্রতি একটি কনক্লেভে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্লকবাস্টার ‘কেজিএফ’ (KGF) ছবির অভিনেতা যশ (Yash)।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে আয়োজিত একটি কনক্লেভে সাউথের ছবির রমরমা বাজার নিয়ে মুখ খোলেন যশ। ‘বাহুবলী’, ‘কেজিএফ’, ‘আরআরআর’, ‘পুষ্পা’র সফলতা নিয়ে নিজের মতামত ভাগ করে নেন তিনি। সেই সঙ্গেই কন্নড় তারকা এও বলেন যে, আজ সাউথের ছবির যে এত রমরমা তা কিন্তু পুরোটাই কিংবদন্তি পরিচালক এস এস রাজামৌলীর জন্য।
যশের কথায়, ’১০ বছর আগে ডাব করা ছবি এখানে (উত্তর ভারত) অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে প্রথমদিকে প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের মতামত নিয়ে সেগুলি দেখা শুরু করেছিলেন। দর্শকেরা সাউথের সিনেমা নিয়ে মজা করতেন। তাঁরা বলতেন, ‘এটা কী ধরণের অ্যাকশন, সবাই উড়ছে’। এভাবে শুরুটা হয়েছিল কিন্তু আস্তে আস্তে তাঁদের এটা ভালোলাগে এবং আর্ট ফর্মটা বুঝতে পারেন’।
শুধু এটুকুই নয়, শুরুর দিকে সাউথের ছবির সমস্যা নিয়েও মুখ খোলেন কন্নড় তারকা। অভিনেতা বলেন, ‘সমস্যাটা ছিল আমাদের সিনেমাগুলি খুব কম টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হতো। খারাপভাবে ডাবিং করা হতো এবং হাস্যকর নামের সঙ্গে ছবিগুলি পরিবেশন করা হতো’।
এরপরই ‘বাহুবলী’, ‘আরআরআর’ পরিচালকের ভূয়সী প্রশংসা করে পর্দার রকি ভাই বলেন, ‘দর্শকেরা ধীরে ধীরে আমাদের ডাবড সিনেমার সঙ্গে একাত্ম হতে থাকেন। সম্পূর্ণ কৃতিত্ব এস এস রাজামৌলী স্যারের। পাথর ভাঙতে গেলে সারাক্ষণ চেষ্টা করে যেতে হয়। বাহুবলী সেই ধাক্কাটা দিয়েছিল। কেজিএফ অন্য মানসিকতা নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। দর্শকদের অনুপ্রাণিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এখন দর্শকেরা দক্ষিণী ছবিকেও প্রাধান্য দিচ্ছে’।
সব শেষে যশ তাঁর আগামী সিনেমা এবং ‘কেজিএফ ৩’ নিয়েমুখ খোলেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমার আগামী সিনেমা নিয়ে অনেক সংবাদ শোনা যাচ্ছে আমি জানি। খুব শীঘ্রই আমি আমার পরবর্তী প্রোজেক্টের কথা ঘোষণা করব’। ‘কেজিএফ ৩’ প্রসঙ্গে বলার সময় কন্নড় অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের কাছে প্ল্যান আছে, তবে এখনই কিছু করা হবে না। গত ৬-৭ বছর ধরে আমি কেজিএফ করছি। দেখা যাক, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা পরে কেজিএফ ৩ নিশ্চয়ই বানাবো’।