বাংলার বেশ পরিচিত সংগীত শিল্পী কেশব দে (Keshab Dey)। সম্প্রতি তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল সমস্ত কিছু। যেমনটা জানা যাচ্ছে ২৩শে ফেব্রুয়ারী আগুন লাগে তাঁর বাড়িতে। সেই আগুনেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে শুরু করে ষ্টুডিও। বাড়িতেই ছিল তার ষ্টুডিও ‘ষ্টুডিও মিউজিক প্ল্যানেট’। তিল তিল করে তৈরী করেছিলেন স্বপ্নের ষ্টুডিও যেটা আজ ভষ্মীভুত।
গতকাল কেশব দে নিজেই প্রথম একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান দেন যে তার স্বপ্নের বাড়ি ও ষ্টুডিও পুড়ে গিয়েছে। তবে তিনি সুস্থ আছেন। ফেসবুকে কেশব লিখেছেন, ‘স্বপ্নগুলো পুড়তে দেখলাম, শেষ হয়ে গেল সবটুকু। তবে আমরা সুস্থ আছি’। প্রিয় গায়কের সাথে হয়ে যাওয়া এমন একটা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অগণিত ভক্তরা সহানুভূতি জানিয়েছেন। সাথে দিয়েছেন পাশে থাকার বার্তা।
যারা সবটা জানতেন না তারা কি হয়েছে প্রিয় শিল্পীর সাথে সেটা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন। পাশাপাশি কেশব দার খবর পেতে চাইছিলেন। এরপর গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ নিজের বাড়ি ও স্টুডিওর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন কেশব। যেখানে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বাড়ির ছবি থেকে শুরু করে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া ষ্টুডিও দেখা গিয়েছে। তবে ঠিক কিভাবে আগুন লাগলো বা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না সেই সম্পর্কে সঠিক ভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
সব শেষ হয়ে যাওয়ার কষ্টে ভারাক্রান্ত হৃদয়েই কেশব জানিয়েছেন, ‘যারা জানতে চেয়েছিলেন কি হয়েছে আমার সাথে। তিল তিল করে তৈরী করা স্বপ্নের রাজত্বের অবসান হলো। আজ আমি একা পরিচয় বিহীন কেশব। জন্ম পরিচয় থেকে শুরু করে গত কালকে পর্যন্ত তৈরী করা সবটুকুর অবসান ঘটল। ভালো থাকবেন সবাই।’
কেশব দের এই দুঃসময়ে পাশে রয়েছে তাঁর সমস্ত ভক্তরা। অনেকেই তাঁর সাথে হয়ে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। সাথে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। অনেকেই তাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ কিচ্ছু শেষ হয়নি দাদা। তুমি আমার শূন্য থেকে শুরু করো। আমরা সবাই তোমার পাশে আছি’।
গতকাল রাত্রে আরও একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন গায়ক কেশব দে। যেখানে কিছুদিন আগের স্টুডিওতে বসে গানের আড্ডা ও আজকের ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া স্টুডিও যেটা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভক্তরা। ভিডিওটি শেয়ার করে কেশব জানিয়েছেন, ‘ আর তো ফিরে পাবো না, রোজ ঘুমের শেষেও কখনো আর রাত জাগা হবেনা। স্বপ্নের মন্দির পুঁড়ে ছাই। নিজের হাতে করে গড়ে তোলা প্রত্যেকটা ইমোশন আগুনে পুড়ে শেষ হতে দেখলাম। হয়তো গড়তে পারবো আবার কখনো, কিন্তু ইমোশান গুলো ফিরবে Studio Music Planetanet এখন আর সংগীতের মন্দির নেই পুড়ে শেষ সব।’