বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথমসারির অভিজ্ঞ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কৌশিক সেন (Kaushik Sen)। থিয়েটারের মঞ্চ থেকে সিনেমার পর্দা সবেতেই দাপিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। এবার খুব শিগগিরই ছোটো পর্দায় দেখা যাবে অভিনেতাকে। সেই সুবাদেই বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রসঙ্গত স্টার জলসার পর্দায় রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় আসছে নতুন সিরিয়াল ‘গোধূলি আলাপ’(Godhuli Alap)। এই সিরিয়ালেই আইনজীবী অরিন্দমের ভূমিকায় দেখা যাবে কৌশিক সেনকে।
আর তার বিপরীতে অল্প বয়সী নবাগতা অভিনেত্রী সোমু সরকার (Somu Sarkar)। পর্দার মতোই বাস্তবেও তাদের বয়সের ফারাক। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালের প্রোমোতে দেখানো হয়েছে বাবার বয়সী আইনজীবীর সাথে বিয়ে হয়েছে নায়িকা। যা চারদিকে একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তবে এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি অভিনেতা স্বয়ং কৌশিক সেন বলেছিলেন ‘অনেকের কাছে অসম বয়সী প্রেম ‘অশ্লীল’ মনে হতে পারে। কিন্তু প্রেমের মধ্যে আরও অনেক কিছু থাকে যেমন স্নেহ, পথপ্রদর্শন বা গাইডেন্স। তাই অনুরোধ রইল সকলের কাছে ধৈর্য ধরে একটু সিরিয়ালটি দেখার।’
প্রসঙ্গত রাত পোহালেই গোটা বিশ্বজুড়ে পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এই নারী দিবসের আগেই এবার জীবনের সেরা নারী হিসেবে তিনি বেছে নিলেন তার স্ত্রী, তথা অভিনেত্রী রেশমি সেনকে (Reshmi Sen)। স্কুলজীবনের ভালো লাগা, ভালোবাসা থেকে শুরু করে জীবনের নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দাম্পত্য জীবন সংসার সন্তান সহ সমস্ত ঝড় ঝাপটা সামলে সারাজীবন স্ত্রী রেশমি কে পাশে পেয়ে আপ্লুত অভিনেতা।
জানা যায় স্কুল জীবনে যখন তাদের প্রেমের শুরু হয় তখন কৌশিক সেন ছিলেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আর রেশমি সেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কৌশিক ছিলেন একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আর রেশমি স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে। কিন্তু তারা কখনও হাত ছাড়েননি একে অপরের। পুরনো স্মৃতি হাতড়েই অভিনেতা জানান ‘ চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে বেছে নিয়ে নাটকের দল তৈরি করি। তারপর ছোটপর্দা, বড়পর্দায় অভিনয়। সবসময় পাশে ছিল রেশমি।
অভিনেতার আরও সংযোজন ‘অনিশ্চয়তা দেখে ও কখনও সরে যায়নি। ওর মত স্টেপ আউট করে ছক্কা মারতে খুব কম মানুষকে আমি দেখেছি। ওর জীবনের থিওরিটাই হল, স্টেপ আউট করো। দু-একবার মিস হলে হলেও.. ঠিক ছক্কা মারবেই।’ শুধু তাই নয় কৌশিক জানান ছেলে ঋদ্ধির বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রেশমি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘পড়াশোনা নয়, ঋদ্ধি (Riddhi Sen) যে অভিনয়ই করবে সেটাও রেশমির সিদ্ধান্ত। ও যে প্রথাগত পড়াশোনা ছাড়বে সেই ঝুঁকিও রেশমি নিয়েছিল। তাতে পরবর্তীকালে ওর উপকারই হয়েছে।’