বলিউডের (Bollywood) প্রথম সারির সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বলি সুন্দরী দেশের অসংখ্য তরুণের রাতের ঘুম উড়িয়ে দেন একসময়।দেশের এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী বলিউডের প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতার সাথেই স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। তাঁর যৌন আবেদন আর মারকাটারি ফিগারে ঘায়েল হয়েছেন দেশের অসংখ্য তরুণ হৃদয় থেকে শুরু করে সালমান খান এবং রণবীর কাপুরের মতো তাবড় সুপারস্টারাও।
২০০৫ সালে প্রথম ‘বুম’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন ক্যাটরিনা। যদিও তাঁর প্রথম ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। প্রথম দিকে হিন্দিতে কথা বলতে গিয়ে কিছুতেই জড়তা কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছিলেন এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। সেই কারণে প্রথম দিকে পরিচালকরা সিনেমায় তাঁকে ব্রেক দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন।

পরবর্তীতে অবশ্য ২০০৫ সালে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে ‘সরকার’ ছবিতে অভিনয় করে সকলের নজরে আসেন ক্যাটরিনা। ওই বছরেই সালমান খানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’তে দেখা যায় তাঁকে। এরপর একে একে ‘নমস্তে লন্ডন’, ‘পার্টনার’, ‘ওয়েলকাম’ এর মত একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নেন ক্যাটরিনা।

তবে শুধু সিনেমায় ব্রেক পাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় জীবনের প্রথম ভাগেও তাকে বহু চড়াই-উৎরাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। জানা যায় ক্যাটরিনার বাবা মহম্মদ কাইফ কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। তবে পরবর্তী দিনে তিনি ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। সেখানেই ব্রিটেনের বাসিন্দা সুজান টার্কুটের সাথে বিয়ে করেন তিনি।

ক্যাটরিনা ব্রিটেনের নাগরিক হলেও তাঁর জন্ম হয়েছিল হংকংয়ে। ক্যাটরিনারা ৬ বোন এবং ১ ভাই। তবে ক্যাটরিনা যখন ছোট, তখনই তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর মাত্র ১৪ বছর, বয়সে ক্যাটরিনা প্রথম ‘লন্ডন ফ্যাশন উইক’-এ র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেই বছরেই একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান তিনি।














