বলিউডের জনপ্রিয় স্টার কিড তথা সইফ আলী খান (Saif Ali Khan) ও করিনা কাপুরের (Kareena Kapoor) প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান (Taimur Ali Khan)। জন্মের পর থেকেই একপ্রকার খুদে সেলিব্রিটিতে পরিণত হয়েছে তৈমুর। এখন থেকেই ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়া পর্যন্ত শিখে গিয়েছে। দেখতে দেখতে ৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে ছোট্ট তৈমুরের।
২০১৬ সালের ২০ই ডিসেম্বর কারিনার কোল আলো করে এসেছিল তৈমুর। সেই থেকেই তাকে নিয়ে সর্বদা চর্চা থাকে তুঙ্গে। বড়সড় তারকাদের মত পাপ্পারাৎজিদের ক্যামেরা অপেক্ষা করে থাকে তৈমুরের ছবি ও ভিডিও তোলার জন্য। দেখতে দেখতে ছোট্ট থেকে বেশ খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে সে। আর ইতিমধ্যেই পড়াশোনা থেকে স্কুলে যাওয়ায় শুরু করে দিয়েছে তৈমুর।
যদিও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস থেকে পড়াশোনা চলছে। আর হয়তো তৈমুরেরও পড়াশোনা আপাতত অনলাইনে হচ্ছে। আগেই বলেছি তৈমুরের ফ্যানেদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। নিজের নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হলে হয়তো এখনই কয়েক মিলিয়ান ফলোয়ার হয়ে যেত তাঁর। তাই তৈমুরের পড়াশোনা নিয়েও বেশ আগ্রহী নেটিজেনরা।
কোন স্কুলে পরে তৈমুর? কতটাকা মেইন দিতে হয় সেই স্কুলে এই সমস্ত প্রশ্ন অনেকে নেটিজেনদের মনেই এসেছে। সম্প্রতি এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সামনে এসেছে। যেমনটা জানা যাচ্ছে লকডাউনের আগে পর্যন্ত প্লে স্কুলে যেত তৈমুর। সেখানে গল্পের বই থেকে আঁকার মাধ্যমে বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখানো হয়। আর প্রতিমাসে পারিশ্রমিক বাবদ কারিনাকে এর জন্য ৫০০০ টাকা মাইনে দিতে হয়।
কি? শুনে অবাক হলেন তাই না! এতবড় বলিউড সেলেব্রিটি হয়েও মাত্র ৫০০০ টাকা মাস মাইনের স্কুলে পরে তৈমুর! যদিও এটাই সত্যি। আগেই বলেছি স্কুলে ছবি আঁকা শেখে তৈমুর। আর জানলে হয়তো অবাক হবেন তৈমুরের হাতে আঁকা প্রতিচ্ছবি বিক্রি হয়। তাও আবার ১৫০০ টাকা প্রতি ছবি। কফি উইথ করণ শোয়ের মঞ্চে সাইফ আলী খান নিজেই এই কথা জানিয়েছিলেন।