জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় যে সমস্ত সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয় তার মধ্যে অন্যতম ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। একজন নারীকে কিভাবে স্বামীর কাছে অত্যাচারিত হতে হয়, তবুও সমস্ত বাধাবিপত্তি সামলে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেটাই তুলে ধরছে গল্পটি। যেখানে পরাগের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে শিমুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মানালি দে।
যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন, পরাগকে শেষমেশ ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে শিমুল। এর ঠিক পরেই ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে পরাগ। শত অপমান সত্ত্বেও আশীর্বাদের সময় যখন প্রিয়াঙ্কার শাড়িতে আগুন লেগে যায় তখন শিমুলই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে বাঁচায়। এরপর বিয়েও মিটে গিয়েছে। বিয়ের পর মাকে কথা শুনিয়ে শিমুলের থেকে সমস্যা গয়নাও নিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে দেওয়াও হয়ে গিয়েছে।
তবে এবার চরম পরিণতি হল পরাগের। সম্প্রতি আগাম পর্বের ঝলক সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে পরাগ বিছানায় পড়ে রয়েছে। এরপর দাদাকে এমন অবস্থায় দেখেই চিৎকার শুরু করে পলাশ ও তাঁর বউ প্রতীক্ষা। তারপরেই দেখা যাচ্ছে সোফাতে শুয়ে আছে পরাগ। আর তাকে দেখার জন্য ডাক্তার ডেকে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে পরাগকে প্রাণে মারার জন্য বিষ দিয়েছে শিমুল এমন অভিযোগ তোলে প্রতীক্ষা।
প্রতীক্ষার অভিযোগ শুনেই মাথায় বাজ পরে মধুবালার। সে বলে ওঠে, আমার বউমা আর যাই করুক কাউকে খুন করতে যাবে না’। কথা শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ নিয়ে হাজির হয়েছে পলাশ। এরপর আর কি, শিমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের সাথে যাওয়ার আগে শিমুল বলে ওঠে, ‘আমি তোমায় কথা দিচ্ছি মা হয় প্রমাণ করব আমি নির্দোষ। নয়তো আমি এই বাড়িতে আর কোনোদিন ফিরে আসবো না।
শিমুলের মুখে এই কথা শুনেই পলাশ-প্রতীক্ষার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বুঝতে বাকি থাকে না যে সবটাই শিমুলকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র। এবার কিভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে শিমুল সেটাই দেখার।