গত বছর বলিউডের (Bollywood) নামজাদা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর ওর থেকেই সংবাদের শিরোনামে কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। তারপর থেকেই ক্রমাগত বিতর্কের সাথে জড়িয়ে পড়েছে কঙ্গনার নাম। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) প্রায়শই নতুন বিতর্ক উস্কে চলেছেন বলি-অভিনেত্রী। বিরূপ মন্তব্যের জেরে টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষের তরফে ‘ব্যান’ (Ban) করা হয় কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডল। যদিও তাতে যে থামেননি অভিনেত্রী, তা বলাই বাহুল্য।
নিজের স্বদেশভক্তির কথা বারংবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি দেশভক্তির নিদর্শন হিসেবে যে নয়া দাবি তুলেছেন কঙ্গনা, তাতে পুনরায় লাইমলাইটে তিনি। এদেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ (India) না রেখে কেবল ‘ভারত’-ই (Bharat) রাখা পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছেন বলি-ক্যুইন (Queen)। তাঁর মতে, ‘ইন্ডিয়া’ এখনও ব্রিটিশ (British) প্রদত্ত ‘স্লেভ নেম’ বয়ে চলেছে। শাসক প্রদত্ত ক্রীতদাসের নামকরণে যে কোনও গৌরব নেই, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা।
টুইটারে না থাকলেও ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram) ও ভারতের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘কু’-তে (Koo) রয়েছেন কঙ্গনা। প্রত্যেক মাধ্যমেই নিজের এহেন যুক্তি উপস্থাপন করে চলেছেন ‘ক্যুইন’। অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, “দেশের শিকড়ের সঙ্গে প্রাচীন আধ্যাত্মবাদ ও জ্ঞানের যোগ থাকলে ভারতের উত্থান সম্ভবপর হবে। তবেই বিশ্ব আমাদের দিকে সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে তাকাবে এবং আমরা বিশ্বনেতা হিসেবে দাঁড়াতে পারবো। যদি আমাদের নগরকেন্দ্রিক উন্নতিও হয়, সেটা যেন পশ্চিমী দুনিয়ার অবিকল অনুকরণ না হয়। বেদ, গীতা ও যোগাসনের শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের ইতিহাস। আমরা কি এই দাসত্বের নাম ‘ইন্ডিয়া’-কে বদলে ‘ভারত’ করতে পারি না।”
এখানেই না থেমে কঙ্গনা আরও লেখেন, “‘ইন্ডাস ভ্যালি’ তথা সিন্ধু উপত্যকা থেকে ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণটি হয়। কেবল জন্মের হিসেবে কারও নাম রাখা যায় না। ‘ভারত’ নামটির মধ্যে আলাদা অর্থ রয়েছে। ‘ভা’ অর্থে ‘ভাব’, ‘র’ অর্থে ‘রাগ’ এবং ‘ত’ অর্থে ‘তাল’।”
এরপরেই উত্তাল নেটিজেনমহল। কঙ্গনার পোস্টের কমেন্ট বক্সে মতামতের ঝড় উঠেছে। এক নেটিজেনদের সাফ কথা, “শুধু নাম পাল্টালেই দেশ পাল্টে যায় না। দেশের মানুষ ও তাঁদের মনোভাব না বদলালে দেশও বদলাবে না।” অপর এক নেটাগরিক কটাক্ষ করে লেখেন, “সামান্য সংস্কৃত জ্ঞান ও পৌরাণিক ভারত সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কঙ্গনা বুঝতে পারবেন দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পুত্র ‘ভরত’-এর নাম থেকেই দেশের নাম হয় ভারত।”