‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গান গেয়ে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। সাধারণ একজন বাদাম বিক্রেতা থেকে ভুবনবাবু হয়ে উঠেছিলেন সেলিব্রিটি। তাঁর গাওয়া গানে কোমর দোলাতে দেখা দিয়েছিল টলিউড-বলিউডের নানান তারকাদের। কিন্তু ‘বাদামকাকু’র সেই সুখ বেশিদিন রইল না
বাদাম বিক্রেতা থেকে তারকা হয়ে যাওয়ার পর ভুবনবাবুর অহংকার বেশ বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়ার পর একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি কি আর কখনও বাদাম (Peanut) বিক্রি করবেন? জবাবে ‘বাদাম কাকু’ সাফ বলেন, ‘আমি তো এখন সেলিব্রিটি। আমি বাদাম কেন বিক্রি করব?’
পরবর্তীকালে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন ‘কাঁচা বাদাম’ গায়ক। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্য একেবারেই ভালো ভাবে নেননি অনেকে। কয়েকমাস যেতে না যেতেই নিজের সাধের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট হারান তিনি। কপিরাইট ফিরে পেতে থানা পর্যন্ত দৌড়েছিলেন ‘বাদাম কাকু’। কিন্তু কিছু হয়নি।
নিজের ভিটে বাড়ি ছেড়ে দুবরাপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন ভুবনবাবু। কিন্তু সংসারের আয় একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ছেলের টাকায় সংসার চলছিল। কিন্তু এভাবে তো আর বেশিদিন চলে না! সেই জন্য সংসার চালাতে ফের বাদাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দুবরাজপুর থেকে ফের কুড়ালজুরি গ্রামে ফিরে এসেছে ভুবনবাবু। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে ফের নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছেন তিনি। সেখান থেকেই আবার বাদাম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এবার আর গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে নয়, বরং বাড়ি থেকেই বাদাম বিক্রি করবেন ‘কাঁচা বাদাম’ গায়ক। ভাজা বাদাম বিক্রি করবেন বলে ঠিক করেছেন ভুবনবাবু।
গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভের পর ব্যবসায় অবশ্য মন বসছে না ভুবনবাবুর। কিন্তু পেট চালানোর জন্য ভাজা বাদাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে এসবের মধ্যেও ‘বাদাম কাকু’র মনের আশা কিন্তু মুছে যায়নি। এখনও তিনি আশা করেন, একদিন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। ফের আবার আগের ছন্দে গায়কের মতো গান গাইবেন তিনি।