সোশ্যাল মিডিয়ার (Social media) এই যুগে রাতারাতি ভাইরাল (Viral) হয়ে সেলিব্রিটি হয়েছে বহু মানুষ। এমনই একজন ব্যক্তি হলেন বীরভূমের দুবরাজপুরের সাধারণ এক বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে তিনি রাতারাতি হয়ে যান ইন্টারনেট সেনসেশন। তাঁর ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গানে কোমর দুলিয়েছেন টলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের তারকারা। কিন্তু এখন প্রচণ্ড অসহায়ভাবে দিন কাটছে সেই ভুবনের।
কয়েকদিন আগে এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে দুঃখ করে ভাইরাল ‘বাদাম কাকু’ বলেছিলেন, খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁর। যে গানের সৌজন্যে তিনি তারকা হয়েছেন, সেই ‘কাঁচা বাদাম’এর কপিরাইট নিয়ে নিয়েছেন একজন ব্যক্তি। ভুবনকে ঠকিয়ে সেই গানের (Song) কপিরাইট হাতিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, লাখ টাকা খরচ করে ভুবন যে প্রসাদসম বাড়ি বানিয়েছেন সেখানেও এখন তিনি থাকতে পারছেন না।
লাখ টাকার বাড়ি ছেড়ে ‘বাদাম কাকু’ এখন থাকছেন ভাড়া বাড়িতে। দুবরাজপুরেই মাসিক ২৭০০ টাকা দিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছেন তিনি। পাশাপাশি ‘কাঁচা বাদাম’এর কপিরাইট হারিয়েছেন বলে সেই গানও আর কোথাও গাইতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বেশ ফাঁপরে পড়েছেন ভুবন।
একসময় যাকে নিয়ে মাতামাতি করেছে সারা দেশের মানুষ, তাঁরই এখন রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছেলের টাকায় চলছে সংসার। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে সেই চিন্তাই ঘুরছে তাঁর মাথায়। যে টুকু টাকা সঞ্চয় করেছিলেন সেটিও বাড়ি তৈরি করতে খরচ হয়ে গিয়েছে। ফলে ভুবনের হাতে সঞ্চয় বলতেও আর কিছু নেই।
সব মিলিয়ে প্রচণ্ড করুণ অবস্থা ভুবনের। সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ভুবনের ভাড়া বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সত্যিই খুব দুর্দশায় দিন কাটছে ‘বাদাম কাকু’র। অসহায়ভাবে দিন কাটছে তাঁর। বিশেষত সাধের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের কপিরাইট হারানোর পর খুবই হতাশ হয়ে পড়েছেন ‘বাদাম কাকু’।
‘কাঁচা বাদাম’এর সৌজন্যেই দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন ভুবন। কিন্তু এখন কপিরাইট হারিয়ে তিনিই ফাঁপরে পড়েছেন। তবে যাই হয়ে যাক না কেন ‘বাদাম কাকু’ হাল ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, আদালতে কপিরাইট নিয়ে তিনি যেভাবে লড়াই চালাচ্ছেন তেমনই গানের দুনিয়াতেও লড়াই চালিয়ে যাবেন।