আধুনিকতার যুগে হুট ভাইরাল (Viral) হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। কারণ একবার ভাইরাল হলেই কপাল ফিরে যাবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বীরভূমের দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar) ওরফে ‘বাদাম কাকু’র সাথে। কিন্তু কয়েকমাস মাতামাতির পর আর দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। কোনও খোঁজখবরও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। হঠাৎ করে কোথায় হারিয়ে গেলেন বাদাম কাকু?
‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) গান গেয়ে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে গিয়েছিলেন ভুবন। সাধারণ একজন বাদাম বিক্রেতা থেকে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন লাখপতি। এমনকি দোতলা কোঠাবাড়িও বানিয়ে ফেলেছিলেন। স্ত্রী আদুরিকে সঙ্গে নিয়ে জিৎ সঞ্চালিত ‘ইস্মার্ট জোড়ি’তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এসবের পরেই আচমকা গায়েব বাদাম কাকু! বেশ কয়েকমাস হয়ে গেল দেখা নেই তাঁর।
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভুবন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। সেখানে এসেই প্রায় কাঁদোকাঁদো গলায় নিজের দুরবস্থার কথা জানান তিনি। অভিযোগের সুরে ভুবন বলেন, তাঁকে ঠকিয়ে তাঁর জনপ্রিয় গান ‘কাঁচা বাদাম’এর কপিরাইট (Copyright) নিয়ে নিয়েছেন একজন ব্যক্তি। আর সেই জন্য ‘বাদাম’ শব্দটাই উচ্চারণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর।
টিভি৯ বাংলার কাছে দুঃখ করে বাদাম কাকু বলেন, গান গাওয়ার সময় ‘বাদাম’ শব্দটি উচ্চারণ করলেই নাকি কপিরাইট ইস্যু হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে তিনি টাকা পাচ্ছেন না। অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নামও বদনাম হয়ে যাচ্ছে। বাদাম কাকুর অভিযোগ, তিনি চক্রান্তের শিকার।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ই ভুবন অভিযোগ আনেন বীরভূমের এক সংস্থা ও তার মালিকের বিরুদ্ধে। বাদাম কাকু বলেন, তিনি পড়াশোনা জানেন না। সহজ সরল পেয়ে তাঁকে ঠকিয়ে গানের কপিরাইট হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এখন তাঁকে ফোন করলে ফোনও ধরেন না।
কথা বলতে বলতেই গলা ধরে আসে ভুবনের। প্রায় কাঁদোকাঁদো সুরে তিনি বলেন, এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ নামে একটি ইংরেজি গান এনেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ‘পাকা বাদাম’ শব্দটি ছিল। আর সেই জন্য ফের কপিরাইট সমস্যা হয়। সব মিলিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন বাদাম কাকু।