বাংলা সঙ্গীত জগতের (Bengali music industry) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন কবীর সুমন (Kabir Suman)। ১৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার এই প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন (Kabir Suman birthday)। দেখতে দেখতে জীবনের ৭৪টি বসন্ত কাটিয়ে ৭৫ বছরে পা দিলেন তিনি। জন্মদিনের আগের দিনই তিনি এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে বসেছিলেন। রাজ্য রাজনীতি থেকে নিজের কেরিয়ার হয়ে ব্যক্তিগত জীবন- সেই সাক্ষাৎকারে কবীর সুমন (Kabir Suman interview) কথা বলেছেন অনেক কিছু নিয়েই।
জন্মদিনের ঠিক একদিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় (Interview) বসেছিলেন কবীর সুমন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় এখন কাজ কেন কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। জবাবে গায়ক স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্পষ্ট বলেন, ‘আমি কমাইনি। লোকে আমায় চায় না। কোনও সময়ই মানুষ আমায় খুব একটা চায়নি… আমারও আর ভালোলাগে না’।
কবীর সুমনের জবাব শোনার পরেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় কোনও ক্ষোভ থেকে কি এই কথাগুলো তিনি বলছেন। জবাবে তিনি জানান, কারোর প্রতিই কোনও রকম ক্ষোভ তাঁর নেই। ১৯৬৭ সাল থেকে গান গাইছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পীর কথায়, তিনি ‘কালকের খোকা’ নন। তিনি ভালো করেই জানেন কত ধানে কত চাল হয়। তাই তাঁকে যেমন কেউ পাত্তা দেয় না, তেমনই তিনিও কাউকে পাত্তা দেন না।
তবে কাজ কমিয়ে দিলেও উঠতি সঙ্গীতশিল্পীদের কাজে উৎসাহ দিতে কিংবা তাঁদের হাতে ধরে শেখানোয় কিন্তু কোনও ক্লান্তি আসেনি কবীর সুমনের। গায়ক বলেন, ‘ওরাই তো হল ভবিষ্যৎ। ওঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, ওঁদের থেকে শিখছি। তবে আমায় পারিশ্রমিক দিতে হবে। বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। যারা কাছের তাঁদের থেকে অবশ্য পারিশ্রমিক নিই না। আবার অনেকের থেকে চার গুণ পারিশ্রমিকও চাই’।
দেখতে দেখতে ৭৫ বছর হয়ে গেলেও কবীর সুমনের এনার্জি সেই একই রকম রয়ে গিয়েছে। টানা ৩ ঘণ্টা রেকর্ডিং করার পর সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন গায়ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর মধ্যে কোনও ক্লান্তি ছিল না। এই অফুরান এনার্জির ‘সিক্রেট’টা কী? সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হলে স্বভাবসিদ্ধ স্পষ্টভাবেই জবাব দেন গায়ক।
কবীর সুমন বলেন, ‘কাম! মুক্তি কাম! যেখানে অশ্লীলতাটাই হল সব। আমার বয়স হয়েছে, রাতে ভালো করে ঘুম হয় না। তবে আমি কিন্তু বিছানায় চূড়ান্ত সক্ষম। নারীরা আমায় সমৃদ্ধ করেছেন। নতুন ধারণা আবিষ্কার করে প্রেম করাতেই আমার এনার্জি। আঁতলামি না, শরীর, ভালোবাসা এবং সম্মান দিয়ে প্রেম করতে হবে। এছাড়া শাস্ত্রীয় ঙ্গীতের বিভিন্ন খেয়াল এবং রাগ আমায় বাঁচিয়ে রাখে’।