বয়স যেন তার থেমে রয়েছে ১৬ তেই। একসময়ে তার হটনেসে ঘুম উড়েছে কত যে যুবকের তা গুনে শেষ করা যাবেনা৷ আজ বয়স বাড়লেও লাবণ্য একই ভাবে ধরে রেখেছেন জুন মালিয়া। বয়স যেন তার কিছুতেই বাড়েনা। ছোট পর্দা, বড় পর্দায় দাপটের সাথে অভিনয়ের পরে এখনও রাজনীতির ময়দানেও তিনি পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন অচিরেও। ঘর এবং বাইরে উভয়ই তিনি সামাল দিচ্ছেন শক্ত হাতে। দুই সন্তানের মা জুন অভিনয়ের পাশাপাশি জমিয়ে সংসারটাও করছেন।
অল্প বয়সে বিয়ের পর শীঘ্রই মা হন তিনি। কিন্তু সংসারটা বেশিদিন টেকেনি জুনের। তখনও তার ভরপুর যৌবন, এদিকে সংসার ভেঙে খানখান। সন্তানদের মুখ চেয়ে বেশ কিছুদিন নিজেকে আটকে রেখেছিলেন জুন। এরপর ফের প্রেম আসে জুনের জীবনে। এখন মনের মানুষের সাথেই ঘর করছেন তৃণমূল বিধায়ক।
সমানতালে চলছে সিনেমা এবং সিরিয়ালের কাজ। এই মুহুর্তে বেঙ্গল টপার ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে খড়ির দাপুটে শাশুড়ী তিনি। সব মিলিয়ে জুন ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দিলেন প্রায় ২৬ টা বছর। এই ইন্ডাস্ট্রি একদিকে যেমন ভরিয়ে দিয়েছে তেমনই কেড়েও নিয়েছে অনেক কিছুই৷ প্রভাত রায়ের ‘লাঠি’ থেকে যাত্রা শুরু করে আজ ‘গাঁটছড়া’র দাপুটে শাশুড়ি।
‘লাঠি’ ও ‘গাঁটছড়া’র চরিত্র দুটির ছবি পাশাপাশি কোলাজ করে জুন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “ও মাই গড! ১৯৯৬ সালে প্রভাত রায়ের ‘লাঠি’ ছবিতে আমি সোনালির চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাকে করতে হয়েছিল তাঁর নাতনির চরিত্র। বখাটে একটা মেয়ে সোনালি। সে বছর ‘লাঠি’ ছিল সেরার সেরা ব্লকবাস্টার ছবি। পেয়েছিল জাতীয় পুরস্কারও। এখনও বহু দর্শক ছবিটি নিয়ে কথা বলেন। প্রতি নিয়ত স্থানীয় টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় ছবিটি। এটা আমার অতীত।”
আর বর্তমান প্রসঙ্গে জুন বলছেন, “বর্তমানে আমি ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। চরিত্রটার নাম মঞ্জীরা। ছেলের উপর খুবই অধিকারবোধ তাঁর। গৌরব চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ঋদ্ধিমানের মা। খড়ির শাশুড়ি। পর্দায় শোলাঙ্কি রায়ের শাশুড়ি। সৌমেন পরিচালনা করে ধারাবাহিকের। ২২ সপ্তাহ ধরে আমরা বেঙ্গল টপার হয়েছি। সাধারণত আমাদের টিআরপি থাকে ৮.৫। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার দর্শককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”