টলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের অন্যতম রূপা গাঙ্গুলি (Rupa Ganguly) । একটা সময় অসংখ্য ধারাবাহিক এবং ছবিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী৷ বর্তমানে যদিও পর্দা থেকে অনেক দূরে তিনি, হালফিলে তাঁর ধ্যান জ্ঞান সমস্তটাই রাজনীতিকে ঘিরে। অভিনয় জগতে কেরিয়ার শুরুর আগে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্রী৷ লেখাপড়ার দিক থেকেও বেশ মেধাবী ছিলেন অভিনেত্রী।
কখনও ভাবেননি অভিনয় করবেন, কেবনা তাঁর পছন্দের বিষয় ছিল রবীন্দ্র সংগীত। স্নাতক শেষ করে পরবারের সকলের জোরাজুরিতে অডিশান দিয়েছিলেন রূপা। এরপর পরিচালক বিজয় চক্রবর্তীর নজরে আসেন তিনি আর সেখান থেকেই ‘ নিরুপমা ‘ ছবির নায়িকা চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হন অভিনেত্রী।
এরপর অসংখ্য ছবি ধারাবাহিকেই অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু আজও তাঁর করা একটি চরিত্র দর্শকদের মনে ছাপ রেখে গেছে। বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’ ভারতীয়দের মনে আজও বিদ্যমান থাকার কারণ একটাই, এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকের অত্যন্ত শক্তিশালী অভিনয়।
তবে জানা যায়, প্রথমে দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জুহি চাওলাকে। কিন্তু ‘পিংক গার্ল’ এর সেই প্রস্তাব পছন্দ না হওয়ায় তিনি চরিত্র করতে নাকচ করে দেন৷ কারন তার হাতে সেই মুহূর্তে ‘কেয়া মত সে কেয়ামত তাক’ ছবি ছিল। তাই সেই সুযোগ আসে রূপা গাঙ্গুলীর কাছে, আর ওই দ্রৌপদী চরিত্রই দর্শকের কাছে রূপা গাঙ্গুলী কে চিরস্মরণীয় করে রাখে।
টলিপাড়ার পরিচিত অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলী তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন ‘মুক্তবন্ধ’ নামক বাংলা ধারাবাহিকে। হিন্দি পর্দায় তাঁর প্রথম কাজ দূরদর্শনের ‘গণদেবতা’ ধারাবাহিক। মহাভারত-খ্যাত অভিনেত্রী হিসেবে এরপর পরিচিতি পান রুপা। একের পর এক অভিনয় করেন গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, অপর্ণা সেনের ‘যুগান্ত’ ও ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অন্তরমহল’ ছবিতে।