এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের (Television) অত্যন্ত চর্চিত একটি ধারাবাহিক হল স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘গুড্ডি’ (Guddi)। ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় চমক না দেখাতে পারলেও, চর্চার কেন্দ্রে কিন্তু ঠিক রয়েছে। প্রথমে গুড্ডি-অনুজ-শিরিন এবং এরপর অনুজ-গুড্ডি-যুধাজিতের ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী দেখিয়ে দর্শকদের নজর কেড়েছিল এই ধারাবাহিক। সেই সঙ্গে জুটেছিল কটাক্ষও।
‘গুড্ডি’র একঘেয়ে ত্রিকোণ প্রেমের ট্র্যাক দেখে দর্শকদের একাংশ প্রবল বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ জোটার সঙ্গে, উঠেছিল ধারাবাহিক বয়কটের ডাকও। কেউ কেউ আবার বলেছিলেন, ‘গুড্ডি’র নাম বদলে ‘পরকীয়ার হাড্ডি’ নাম রাখা হোক। বিশেষত, আইপিএস অফিসার অনুজের ওপর বেশি চটেছিলেন দর্শকরা।
বাড়িতে বৌ শিরিনকে ফেলে রেখে গুড্ডির সঙ্গে তাঁর পরকীয়া দেখে চটে গিয়েছিলেন অনেকে। একজন আইপিএস অফিসারের প্রেম আর পরকীয়া ছাড়া কি কোনও কাজ নেই? উঠেছিল সেই প্রশ্নও। প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়ে লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী বাধ্য হন ধারাবাহিকের ট্র্যাক পরিবর্তন করতে।
কয়েকমাস আগেই গুড্ডি-অনুজের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এন্ট্রি নিয়েছিল যুধাজিৎ (Judhajit)। পরে জানা যায়, সে সম্পর্কে অনুজের জেঠুর ছেলে। ওদিকে আবার সে গুড্ডিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ‘স্যারজি’র প্রতি ভালোবাসার জন্য বিয়ের নিয়মকানুন এড়িয়ে নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরে নেয় গুড্ডি।
তবে এসবের মাঝেই লম্বা লিপ নিয়েছে ‘গুড্ডি’। অনুজ এখন ডিআইজি হয়ে গিয়েছে এবং গুড্ডি হয়ে গিয়েছে এসপি। এত বছরে আস্তে আস্তে যুধাজিৎকে ভালোবেসে ফেলেছে সে। গুড্ডি ঠিক করেছে, যুধাজিৎকে বিয়ে করে সে নতুন জীবন শুরু করবে। ইতিমধ্যেই সাত পাকে বাঁধাও পড়েছে তাঁরা। আর ভাগ্যচক্রে, সেই বিয়ের ছবি তুলেছে অনুজ!
গুড্ডি- যুধাজিতের বিয়ের ট্র্যাক শেষ হতে না হতেই ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছেন একজন সাধুবাবা। যিনি যুধাজিতের বাবা। এত বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সে। গুড্ডি, মা এবং বাবাকে নিয়ে সুখী সংসার তাঁর। এতদিন পর যুধাজিতকে হাসিমুখে দেখে আনন্দিত হয়েছেন দর্শকরাও।