টিভির পর্দায় ‘মিঠাই’ (Mithai) শেষ হয়ে গেলেও দর্শকমহলে এই সিরিয়ালের রেশ কমছে না কিছুতেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিরিয়ালের ফ্যান পেজগুলি দেখে তা বোঝা যায় হামেশাই। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় পা রেখেছিলেন সিদ্ধার্থ (Sidhartha) অভিনেতা আদৃত রায় (Adrit Roy)। আর প্রথম সিরিয়ালেই একেবারে বাজিমাত করেছেন এই অভিনেতা।
যদিও সিরিয়ালে অভিনয় করার আগেই আদৃত পা রেখেছিলেন বড়পর্দায়, ব্যাক টু ব্যাক কাজ করেছিলেন প্রায় পাঁচ ছটা সিনেমায় কিন্তু সেই ভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি আদৃত অভিনীত কোন সিনেমাই। কিন্তু টেলিভিশনের পর্দায় মিঠাইরানীর উচ্ছেবাবু হয়েই তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা আর আশীর্বাদ পেয়েছেন তাতে আপ্লুত তিনি নিজেও। সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলার তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ঘরে ঘরে বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ড।
সেখানেই মিঠাই সিরিয়ালে নায়িকা সৌমিতৃষা কুন্ডুর সাথে সেরা জুটি এবং সেরা টেলি অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এদিন মঞ্চে উঠে পুরস্কার হাতে নিয়ে আদৃতকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘আমি আগে ৫-৬টা সিনেমা করেছি কিন্তু কোনো ছবি সেভাবে কাজ করেনি। কেউ আসেনি থিয়েটারে ওই ছবি দেখতে।
এরপরে পর্দার উচ্ছেবাবু হয়ে ওঠার পিছনে থাকা অজানা কাহিনীর কথা জানিয়ে আদৃত বলেন ‘একদিন সকালে তার এক বন্ধু তাকে ফোন করে বলেছিলেন দর্শক তোমায় ছবি দেখতে থিয়েটারে আসছে না, তাই তুমি তাদের ঘরে পৌঁছে যাও, জি বাংলা জয়েন করো’। বন্ধুর কথা মত ভেবেচিন্তে আদৃত সিদ্ধান্ত নেন ছোট পর্দায় আসার। তারপর তো বাকিটা ইতিহাস।
সিদ্ধার্থ মোদক চরিত্রে অভিনয় করেই রাতারাতি বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম হার্টথ্রব হিরো হয়ে উঠেছেন তিনি । আর এখন বাংলা জোড়া তার খ্যাতি। এই চরিত্রের জন্য তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন তা নাকি তার নিজের কাছেও অবিশ্বাস্য লাগে।
একজন অভিনেতা হিসাবে আদৃতের কাছে পর্দা বা মাধ্যম নয় চরিত্রই নাকি শেষ কথা বলে। এপ্রসঙ্গে আদৃত বলেছেন ‘পর্দাটা কোন বিষয় নয়, এটা টিভি হোক ওটিটি হোক কিংবা সিনেমা হোক আমার কাছে সব সমান। আমি অভিনেতা আমি যদি কিছু ভালো কাজ পাই আমি করব। প্রসঙ্গত মিঠাই শেষ হওয়ার পর পাহাড় থেকে ছুটি কাটিয়ে এসেছেন।বেশ কিছু সিরিয়ালের অফার পেলেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।