৯০ এর দশকের সেরা গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম জোজো মুখোপাধ্যায় (Singer Jojo Mukherjee)। তাঁর গান আজও বাঙালির মুখে মুখে গুনগুন করে। কিন্তু সম্প্রতি গায়িকাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল। ভাবছেন কেন? কারণ ইন্টারনেটের যুগে যেকোনো তথ্য খুঁজতে গেলে গুগল বাবাজি ভরসা। অথচ গুগলে খুঁজলেই উঠে আসছে ভুলভাল সব তথ্য। তাঁর স্বামীর নামটা পর্যন্ত ভুল।
হ্যাঁ কথায় হয়তো অনেকেই বলেন যে নামে কি এসে যায়! কিন্তু বাস্তবে যদি কেউ আপনার নামটাই বদলে দেয় তাহলে রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবার এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন গায়িকা। তাঁর অজান্তেই স্বামীর নাম বদলে হয়ে গিয়েছে ঝুম্পা নাথানিয়াল। কোনো আতিপাতি ওয়েবসাইটে নয় উইকিপিডিয়াতে দেখানো হচ্ছে এই ভুল তথ্য।
গোটা বিশ্বের তথ্যের সম্ভার হিসাবে বিখ্যাত উইকিপিডিয়া। তাই উইকিপিডিয়ার দেওয়া তথ্য একপ্রকার চোখ বুজেই বিশ্বাস করেন অনেকে। কিন্তু সেখানে এমন ভুল তথ্য দেখানো হচ্ছে কেন? তাও একটা নয় রয়েছে আরও ভুল। অনলাইনে বহু জায়গায় বলা হয়েছে জোজো মুখোপাধ্যায়ের ছোটবেলা কেটেছে জামশেদপুরে। অথচ এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল, কারণ তিনি কলকাতার মেয়ে।
স্বামীর নাম পাল্টে করা হয়েছে ঝুম্পা নাথানিয়াল আর ছেলের নাম বলা হয়েছে জিজো নাথানিয়াল। নিজের সম্পর্কে এমন সব ভুলভাল তথ্য ইন্টারনেটে দেখে চক্ষু চড়কগাছ গায়িকার। এরপর নিজেই এই ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। ফেসবুক পোস্টার মাধ্যমে যেখানে কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি। সাথে লিখেছেন, ‘এসব কি উল্টোপাল্টা, এগুলো কারা আপলোড করে। ভুলভাল তথ্য’।
গায়িকার এই পোস্ট যথারীতি ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই এমন ভুল তথ্য প্রকাশ নিয়ে নিজেদের মন্তব্য করেছেন। প্রায়ই প্রত্যেকেই এমন ভুল তথ্য প্রকাশের নিন্দা করেছেন। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এই পোস্ট দেখেছেন। অভিনেতা জয়জিৎ ব্যানার্জী পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘এবারেও খাওয়ালে না বিয়েতে।’ তো গায়িকা নিয়েই বলেছেন, ‘এই সুযোগ টুম্পা সোনার পর ঝুম্পা মনে গান বানিয়ে ফেলার’।