২০২০ সালের ১৪ জুন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু তুলে দিয়েছিল অনেক গুলো প্রশ্ন। দেশের এই উঠতি তরুণ অভিনেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছিল ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ ট্যাগ। সেসময় অধিকাংশ মানুষ একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর হাত।
তবে সময়ের সাথে সেই ঘটনা অনেকটা থিতিয়ে গিয়েছে। এখন আর দুবেলা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কেউ নেপোটিজম কিংবা সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসেন না। আসলে সবাই সুযোগ পেলেই হুজুগে মেতে ওঠেন। তবে আজ দুবছর আগে সুশান্তের মৃত্যুর পর একে একে সামনে এসেছে দেশের আরও একাধিক উঠতি তারকাদের আত্মহত্যা করার চেষ্টা (Attempt to Suicide), কিংবা আত্মহত্যার খবর।
সম্প্রতি ফের একবার এমনই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। উল্লেখ্য যোধপুরের বাসিন্দা,পেশায় মডেল (Model) ওই মেয়েটির নাম গুনগুন উপাধ্যায় (Gungun Upadhyay)। তার বাবা গণেশ উপাধ্যায় পেশায় একজন ব্যাবসায়ী। যোধপুর মাতা কা থান এলাকার বাসিন্দা ওই মডেল শনিবার উদয়পুর থেকে যোধপুর পৌঁছান। সেখানে তিনি রাতানাডা এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর এদিন আচমকা নিজের বাবাকে ফোন করে বলতে শুরু করেন ‘আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি, শুধু আমার মুখটা দেখে নিও’। এরপরেই একমুহূর্ত দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ মারেন গুনগুন।মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে প্রথমে হকচকিয়ে যান গুনগুনের বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন।
কিন্তু পুলিশ গুনগুনের ফোনের লোকেশন ট্রেস করে পৌঁছানোর আগেই ঘটে যায় অঘটন। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে বুকে চোট পেয়েছে গুনগুন। এছাড়া পায়েও গুরুতর চোট পেয়েছে সে। তবে মেয়ে এমন কান্ড করতে চলেছে সেকথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি গুনগুনের বাবা। তবে কেন হঠাৎ এমন কান্ড করে বসল সে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।