আজও পশ্চিমবাংলাকে মানুষ এক ডাকে চেনে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) নামে। তাকে হারানোর পর আর ওমন মানুষ সারা বাংলা কেন দেশে আর দ্বিতীয় তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বাংলা এবং বাঙালির গর্ব, তিনি অহংকার, তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর সৃষ্টিতে হাত লাগাতে আজও বুক কাঁপে তাবড়-তাবড় পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের। কিন্তু এবার তাঁর সৃষ্টি নয় খোদ ‘সত্যজিৎ ‘ কেই পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক অনীক দত্ত।
তাঁর ছবি ‘অপরাজিত’ তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) । এতদিন পর্যন্ত ধারাবাহিকেই দেখা মিলেছে তার। কিন্তু ‘সত্যজিৎ রায়ের’ আদলে জিতুর ফার্স্ট লুক দেখে চমকে উঠেছে সিনেবোদ্ধা থেকে শুরু করে বিরাট অংশের নেটিজেনরা।
সত্যজিত রায়ের কালজয়ী ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির টুকরো টুকরো নানান ছবি গল্প উঠে আসবে এই ছবিতে। ছবিতে সত্যজিৎ হবেন জিতু আর বিমলা রায় হিসেবে দেখা মিলবে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। এই ছবিতে সত্যজিৎ নয় জিতুর নাম হবে অপরাজিত রায়।আর এই ছবিতে অপরাজিত জীবনের সেই ‘প্রথম ছবি’-র নাম হতে চলেছে ‘পথের পদাবলী’।
জিতুর ফার্স্টলুক নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম নেটপাড়া। কী অপরূপ মিল দু’জনের চেহারায়। অথচ এর আগে কখনও একথা ঠাহরই করতে পারেননি কেউ। সকলে এক দেখায় স্বীকার করে নিয়েছেন, জিতুকে অবিকল সত্যজিৎ রায়ই লাগছে। অমিত দত্তের বিবেচনারও প্রশংসা হচ্ছে দেদার।
সাদাকালো ছবিতে যেন স্বয়ং সত্যজিৎ হয়ে উঠেছেন জিতু। সেই উজ্জ্বল অথচ চিন্তামিশ্রিত চোখ, ঠোঁটের কোণে চারমিনার, কাঠ কাঠ চোয়াল, গালে ব্রণর গর্ত, থুতনির আঁচিল সব হুবুহু মিলিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা পরিচালক দুটিতে মিলে। অবশ্য এই অনবদ্য লুক সৃষ্টির পিছনের আরেকটি নাম না বললেই নয়, তিনি মেকাপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। জিতু জানিয়েছেন, এই চরিত্রের জন্য দিনের পর দিন নিজের সমস্ত শক্তি, শিক্ষা, পরিশ্রম উজার করে দিয়েছেন অভিনেতা। এমনকি প্রথমবার নিজেকে দেখেও চিনতে পারেননি তিনি।