টেলিপাড়ার সামান্য অভিনেতা থেকে আজকের ‘অপরাজিত’ হয়ে ওঠার জার্নিটা জিতু কামালের (Jeetu Kamal) কাছে খুব সহজ ছিলনা৷ আজ তাঁর জয় জয়াকার সর্বত্র। সম্প্রতি বাংলার মহীরুহ তথা প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ভূমিকায় তাঁর অপূর্ব অভিনয় দেখে কার্যত মুগ্ধ গোটা বাঙালি জাতি। অনীক দত্ত পরিচালিত এই ছবিতে সত্যজিৎ এর চরিত্রে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন অভিনেতা জিতু কামাল।
টেলিভিশনের তারকা হলেও টলিউডের বাংলা ছবিতে আজ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত জিতু কমল। দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল থেকে সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়ের থেকেও প্রশংসা পেয়েছেন। তবে আজ সাফল্য পেলেও শুরুটা কিন্তু একেবারেই অন্য রকম ছিল। কথায় বলে সহজে কোনো কিছুই পাওয়া যায় না। শুরুতে একটা সুযোগের জন্য পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু এক মুহুর্তের জন্যও কারোর কাছে মাথা নোয়াননি অভিনেতা। ব্যক্তিগত ভাবে অভিনেতা জিতু একজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ও বটে। বারংবার সেকথা নানান সাক্ষাতকারে নিজের মুখেই বলেছেন অভিনেতা৷ গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলায় রাজ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) সরকার তৃণমূল কংগ্রেস৷ এমনকি চলচ্চিত্র জগতের বহু তারকাই যোগ দিয়েছেন সবুজ শিবিরে।
কিন্তু, এই যুগেও জিতু অনুসরণ করে চলেন লাল পার্টিকেই৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই আদর্শ মানেন জিতু। এই কথা বেশ কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেছিলেন হালফিলের ‘অপরাজিত’। কেরিয়ার ডুবতে পারে জেনেও কখনও ‘রং’ বদলাননি তিনি৷ আজ এত নাম যশ কামানোর পরেও, নিজের মন্তব্যে অবিচল অভিনেতা৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, কায়মনোবাক্যে জিতু স্বীকার করেন তার ‘গুরুদেব’ বুদ্ধবাবু। অভিনেতার কথায়, বুদ্ধদেবের রাজনৈতিক সত্ত্বা বাদ দিলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবনযাপন আকৃষ্ট করে তাঁকে। তার ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা, আদর্শ, রুচির অন্ধ ভক্ত জিতু।