বলিউড সিনেমা বয়কট ট্রেন্ডে (Boycott Bollywood) জর্জরিত। একশ্রেণীর হাত ধরেই মাথা চড়া দিয়েছে ক্যানসেল কালচার নামক এই সংস্কৃতি! অদ্ভুত অদ্ভুত কারণে নেটিজ়েনরা সিনেমাকে বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। অনেক সময় কোনো যুক্তিও থাকছে না। ফলস্বরূপ একের পর এক সিনেমা বলিউডে মুখ থুবড়ে পড়ছে। এবার ৬৭ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের (Filmfare Awards) মঞ্চেও উঠল বয়কট বলিউডের বিষয়টি।
তবে এবার বয়কট নয়, বরং কারণে অকারণে হয়ে চলা এই বয়কটের বিরুদ্ধে উঠল প্রতিবাদ! বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) বয়ানেই শোনা গেল বলিউডের ক্যানসেল কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর। তবে আমরা সকলেই জানি কিভাবে বয়কট ট্রেন্ডের শিকার হয়েছিল বলিউডের নয়া সিনেমা লাল সিং চড্ডা। মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল এই ছবি।
যে কারণে রিলিজের আগেই তীব্র বয়কটের ডাক ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এরপর ১১ অগাস্ট ছবি মুক্তি পেলে বক্স অফিসেও সেটার প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছিলে। ছবি মুক্তির পর ২০ দিনের বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বক্স অফিসে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে আমির খানের ম্যাজিক। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, দেশ ছেড়ে পর্যন্ত চলে গিয়েছেন মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট।
নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু ‘লাল সিং চড্ডা’কেই নয়, বরং এই ছবির কলাকুশলীদেরও বয়কটের ডাক দিয়েছেন । এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন স্বরা ভাস্কর। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন বলিউডের খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। ৬৭ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চ থেকে বয়কট বলিউড প্রসঙ্গেই বেশ কিছু কথা জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার, চিত্রনাট্যতার জাভেদ আখতার। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অভিনেত্রী শাবানা আজমি। সেখানেই তাঁকে বলিউডের চলমান সিনেমা বয়কটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে জাভেদ জানান যে এই ধরনের প্রবণতাগুলি কেবল একটি ‘পাসিং ফেজ’।
তাঁর মতে, সময়ের সঙ্গে এগুলো থেমে যায়। তিনি এক্ষেত্রে একটি ভালো ছবির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি মনে করেন, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জনসাধারণের একটি ভুল প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে কারণ জনগণ চলচ্চিত্র এবং সেলিব্রিটি উভয়কেই বয়কট করছে।
সম্প্রতি, আমির খানের ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ থেকে শুরু করে একইভাবে, অক্ষয় কুমারের’ রক্ষা বন্ধন’ এবং বিজয় দেবেরকোন্ডার ‘লাইগার’। যা বক্স অফিসে ভাল পারফরম্যান্স করেছে কিনা সেটাই যাচাইয়ের পূর্বেই বয়কটের শিকার হয়েছে। জাভেদ আরও বলেন এই বয়কট ট্রেন্ডকে আরো বেশি প্রশ্রয় দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যম। তবে তিনি আশাবাদী যে এই সংস্কৃতি বেশিদিন টিকবে না।