Janmabhumi actress Mita Chatterjee talks about her career and personal life: দূরদর্শনে সম্প্রচারিত একটি আইকনিক ধারাবাহিক হল ‘জন্মভূমি’ (Janmabhumi)। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর চলেছিল এই সিরিয়াল। আর এই ধারাবাহিকে ‘পিসিমা’র (Pisima) চরিত্রে অভিনয় করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় (Mita Chatterjee)। ‘জন্মভূমি’ শেষ হয়েছে প্রায় ২৫ বছর হয়ে গেলেও, দর্শকমহলে এখনও ‘পিসিমা’ নামেই জনপ্রিয় তিনি।
মিতা চট্টোপাধ্যায় এমন একজন অভিনেত্রী যিনি নিজের প্রাণখোলা স্বভাবের জন্য বিখ্যাত। এক নিমেষে অপরিচিত মানুষকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর মধ্যে। সেই জন্যই আজ সক্কলের ‘দিদা’ হয়ে গিয়েছেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে এসেও বার্ধক্য ছুঁতে পারেনি মিতা চট্টোপাধ্যায়কে। বরং এখন নিজের বয়সের আগে ‘মাত্র’ জোড়েন তিনি। সম্প্রতি এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীই এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় (Interview) বসেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন- নিজের সম্বন্ধে একাধিক অজানা কথা ফাঁস করেন মিতাদেবী। অনেকেই জানেন না, বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর আসল নাম কিন্তু ‘মিতা’ নয়, বরং ‘নমিতা’। নায়িকা হওয়ার সময় ‘নমিতা’ থেকে ‘ন’ বাদ দিয়ে তাঁর নাম ‘মিতা’ রাখেন অনুপ কুমার।
সাক্ষাৎকারে ‘জন্মভূমি’র পিসিমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, টলিপাড়ায় কান পাতলেই একটি কথা শোনা যায়। সেটি হল, চট্টোপাধ্যায়দের জিনেই নাকি অভিনয় রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির একাধিক তারকার পদবী ‘চট্টোপাধ্যায়’। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘টলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতারা চট্টোপাধ্যায় এবং সকলেই ঘটি। উত্তম-সৌমিত্র থেকে শুরু করে এখনকার আবীর-পরমও চট্টোপাধ্যায়। আর আরও মজার বিষয় হল, কোনও না কোনও ভাবে এই চট্টোপাধ্যায় অভিনেতারা লতায়-পাতায় আত্মীয় হন’।
মিতাদেবীর সংযোজন, ‘উত্তম কুমারের বাড়ির সঙ্গে আমার বাড়ির ভালো যোগাযোগ ছিল। আমার পিতা ফণিভূষণ চট্টোপাধ্যায় ওনাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। গান-বাজনার খুব চর্চা ছিল। বাবার ওঁদের সঙ্গে যাত্রাও করেছিলেন। সেই সূত্রে আমিও যেতাম। আস্তে আস্তে ওনাদের বাড়ির মেয়ে হয়ে উঠলাম। খুঁজলে হয়তো খুব দূরের কোনও আত্মীয়ও হবো আমরা’।
সাক্ষাৎকারে মিতা চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হয়, উত্তম কুমারের বাড়ির সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে কোনও বিশেষ সুবিধা করে দিয়েছিল? জবাবে অভিনেত্রী সাফ বলেন, ‘বাড়তি সুবিধা বলতে! আমার পরে তো উত্তম কুমার স্টার হয়েছেন। আমি যখন নাচে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছি, তখনও অরুণকুমার উত্তম কুমার হয়ে ওঠেননি’।
নাটক থেকে শুরু করে ছোটপর্দা-বড়পর্দা- সব মাধ্যমেই দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন মিতাদেবী। একাধিক আইকনিক চরিত্রে তাঁকে দেখেছেন দর্শকরা। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাটিয়ে ফেলার পর কিছু কি অধরা রয়ে গিয়েছে বলে মনে হয় মিতা চট্টোপাধ্যায়ের? জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমায় তেমন ভালো চরিত্র আমার জন্য থাকেনি। যদি তা থাকতো, তাহলে হয়তো সিনেমার জগতেও আমার অনেক বেশি খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠা হতো’।