রোজকার ব্যস্ত জীবনে বিনোদনের বিকল্প আর কিছু নেই। তাই সারাদিনের ব্যস্ত শিডিউল থেকে অবসর মিলতেই সকলের জীবনে একমুঠো অক্সিজেনের মত কাজ করে বিনোদনমূলক একাধিক চ্যানেল। তবে সপ্তাহজুড়ে চলতে থাকা সিরিয়াল ছাড়াও আজকাল দর্শকমহলে দারুন জনপ্রিয় বিভিন্ন ধরনের রিয়্যালিটি শো (Reality Show)। আর এখন তো বিনোদনমূলক চ্যানেল গুলোতে নানা সময়ে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ধরনের রিয়্যালিটি শো । তবে বাংলার বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলোতে রিয়ালিটি শো নতুন নয়। এমন অনেক রিয়ালিটি শো আছে যা বহু দিনের পুরনো।
অনেক শো আবার বন্ধ ও হয়ে গিয়েছে বাংলার এমনই বেশ কিছু জনপ্রিয় পুরনো ননফিকশন রিয়্যালিটি শো হল মীরাক্কেল, হাউ মাউ খাউ, ব্যাটা বেটির ব্যাটেল, অপুর সংসার,কে হবেন বিগেস্ট ফ্যান ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলার দুই প্রথম সারির বিনোদনমূলক চ্যানেল জিবাংলা এবং স্টার জলসায় চলছে ধারাবাহিকের দাপট। সেইসাথে দর্শকদের স্বাদ বদল করতে বেশ নতুন রিয়ালিটি শোও আমরা দেখতে পাই বেশ কিছু বছর ধরে। দাদাগিরি, দিদি নং ওয়ান, ডান্স বাংলা ডান্স সুপার সিঙ্গার সহ বেশ কিছু প্রচলিত ধারার শো আমরা দেখেছি। এই তালিকায় রয়েছে স্টার জলসার নবতম সংযোজন ইসমার্ট জোড়ি।
নতুন এই রিয়ালিটি শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন টলিউডের ‘বস’ অর্থাৎ সুপারস্টার জিৎ। বিবাহিত সেলিব্রেটি দম্পতিদের নিয়ে তৈরি এই গেম শো তাদের পাগল করা ভালোবাসার গল্প বলবে। এই শোয়ে অংশগ্রহণকারী অন্যতম জনপ্রিয় সেলিব্রেটি জুটি হলেন অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) এবং তার স্ত্রী তথা অভিনেত্রী নবনীতা (Nabanita Das)।
সম্প্রতি ইসমার্ট জোড়িতে এসে নিজেদের বিয়ের এক অজানা অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন এই জুটি। সেই প্রোমো ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, জিতু ও নবনীতা বলছেন একে অপরের প্রতি দায়িত্বের কথা। জিতু জানালেন, নবনীতার সঙ্গে সাত পাক ঘোরার সময়ও তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না, তিনি সত্যিই বিয়ে করছেন। আসলে নবনীতা হলেন মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। তাই তিনি তাকে ভালো রাখতে পারবেন কিনা সেই চিন্তায় ছিলেন।
বিষয়টা নিয়ে তিনি এতটাই টেনশনে ছিলেন যে বিয়ের আগের দিন রাতে নবনীতাকে একটি বড় এসএমএস পাঠিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি কি ঠিক করছেন জিতুকে বিয়ে করে! আসলে জীতু জানিয়েছেন এর আগে তিনি কখনও এমনভাবে কারও দায়িত্ব নেননি, এছাড়া জীতু মনে করেন মা-বাবার প্রতি কর্তব্য করলেও মা-বাবারা শুধু ভালোবাসা দিয়ে যান, তাঁদের আর কোনো প্রত্যাশা থাকে না। তাই টেনশনে সিঁদুরদানের সময়েও নাকি তাঁর হাত কাঁপছিল। আর নবনীতা জানান তিনি বিয়ের পর শিখেছেন দায়িত্ব নিতে। যখন শ্বশুরমশাই বৌমা এবং দেওর তাকে বৌদি বলে ডেকেছিলেন তখন তাঁর মনে হয়েছিল, তিনি এখন শুধু নবনীতা নন একজনের স্ত্রীও।