২০২০ এর বিষাক্ত সময় কেড়ে নিয়েছে প্রিয় অভিনেতা ইরফান খান (Irrfan khan)-কেও। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকেই কঠিন রোগে ভুগছিলেন তিনি। নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমার বাসা বেঁধেছিল অভিনেতার শরীরে। তখন থেকেই একদিকে তীব্র শারিরীক যন্ত্রনার মধ্যেও অভিনয় করার জেদ আর লড়াই জারি রেখেছিলেন তিনি।
চিকিৎসার জন্য বেশকিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল অভিনয়। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চলতি বছরের ২৯ শে এপ্রিল মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা ইরফান খান। আজও সিনেমা প্রেমীদের কাছে ইরফান মানেই দক্ষ, উজ্জীবিত, টানটান অভিনয়ের অন্যতম উদাহরণ তিনি।
কিন্তু ওই যে কথায় আছেনা? মানিকের ক্ষনিকই থাকে৷ আরও কাজ দেখা বাকি ছিল অভিনেতার কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে। চলে গেছেন ইরফান খান৷ কিন্তু ছোট্ট কেরিয়ারেও তিনি উপহার দিয়ে গেছেন দুর্দান্ত সব ছবি। কিন্তু শুরুতে অনেক স্ট্র্যাগল করেই শেষ জীবনে এই সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন তিনি।
আজ তবে রইল প্রয়াত অভিনেতার সেই জীবন যুদ্ধের কথাই। রাজস্থানের ছেলে ইরফান জয়পুর থেকে ইলেকট্রনিকস ডিপ্লোমা করে প্রশিক্ষণের জন্য মুম্বই যান। তখন হাতে কলমে কাজও করতেন তিনি। আর এই কাজই যে তার স্বপ্নের দরজা খুলে দেবে তিনি আগে বোঝেননি।
এমনই একদিন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি সারাই করতে রাজেশ আশীর্বাদ ভবনে যান, সেদিন অভিনেতা রাজেশ খান্নার পরিচারিকা দরজা খুলে দিয়েছিলেন ইরফানকে। কিন্তু ওমন একটা বাড়িতে নিজেকে মেকানিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ হচ্ছিল অভিনেতার। আর সেদিনই তিনি ঠিক করেন আর নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করবেন না তিনি।
এরপর হাজার প্রতিকূলতার মাঝেই ইরফান ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে পাশ করার অনেক পরে তিনি একটি ধারাবাহিকে সুযোগ পান। ধারাবাহিকটির নাম শ্রীকান্ত। এরপর আর পিছন ফিরে তাজাতে হয়নি তাকে।