সদ্যই শেষ হয়েছে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder) অভিনীত ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’৷ দীর্ঘ ৪ বছর এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দায় রাজ করেছেন অভিনেত্রী। গোটা বাংলার দর্শক শ্রীময়ী তথা ইন্দ্রাণীকে নিজের ঘরের মেয়ে ভাবতে শুরু করেছিলেন। রোহিত সেনের সঙ্গে তার প্রেম, সাংসারিক টানাপোড়েন, শ্রীময়ীর লড়াই, সবই দর্শকদের বেজায় পছন্দের ছিল।
টলিউডের অন্যতম সিনিয়র অভিনেত্রী তিনি। তাই তার প্রতি ইন্ডাস্ট্রির আলাদাই সম্মানের জায়গা রয়েছে। এক সময় বড় পর্দায় দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী আর তারপর গোয়েন্দা গিন্নি আর শ্রীময়ীর দৌলতে তিনি ছোট পর্দাতেও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। শ্রীময়ী শেষ হওয়ার পর এখন কিছুদিনের বিরতি নিয়েছেন অভিনেত্রী৷ তবে প্রিয় অভিনেত্রীর খোঁজ খবর নিতে সদা উৎসুক দর্শকেরা।
আজ সরস্বতী পুজো, আর সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির প্রেমের দিন। প্রতিটা মানুষেরই এই দিন নিয়ে নানান স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। এবার নিজের সরস্বতী পুজোর স্মৃতি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানালেন ইন্দ্রাণী হালদার। তার কথায় শৈশবের স্মৃতি চনমনে হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান, ছোটবেলায় তাদের নিউ আলি পুরের আদি বাড়ির ছাদে সরস্বতী পুজো হত। বাবা মা, আর বাড়ির বেশ কয়েকজন ভাড়াটে মিলে ধুমধাম করে হত পুজোর আয়োজন। গোটা বাড়িতে তাকে নিয়ে ৮ জন বাচ্চা ছিল, সকলে মিলে সাজানো হত মন্ডপ। আশেপাশের বাড়ির লোক আসত, খিচুড়ি রান্না হত, একসাথে খাওয়াও হত।
তারপর হলুদ মেখে স্নান, কুল খাওয়া সবই বলতে থাকেন অভিনেত্রী। মাঝে যদিও হলুদ মাখার আসল কারণ জানিয়ে ইন্দ্রাণী বলেন, ‘জানেন হলুদ কেন মাখতে হয়? ওটা এন্টিসেপ্টিক৷ এই বসন্ত কালে পক্স হয়, তার থেকে বাঁচার জন্যই এই রীতি।’ তিনি আরও জানান, সরস্বতী পুজোর আগে কুল মা খাওয়ারও একটা কারণ আছে তা হল, এই সময় ওয়েদার চেঞ্জ হয় তাই আগে কুল খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সেই কারণেই পরে খেতে বলা হয়। এবছর প্রোডাকশন হাউজের সরস্বতী পুজোয় যাবেন ইন্দ্রাণী। তিনি সাফ জানালেন, একা সরস্বতী পুজো কাটাতে মোটেই ভালো লাগেনা।