এই মুহূর্তে টেলিভিশনে (Television) সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি রিয়্যালিটি শো (Reality Show) হল ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ (Indian Idol)। এই শোয়ের ত্রয়োদশ সিজনের (Indian Idol 13) ফাইনাল আজ। গত ৭ মাস ধরে খেতাব জয়ের লড়াই করার পর অবশেষে ফাইনালে পৌঁছেছেন ৬ জন প্রতিযোগী। তবে আশ্চর্যজনকভাবে দর্শকদের মধ্যে বিজেতা কে হবে তা নিয়ে নয়, বরং শো শেষ হওয়া নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
নেহা কক্কর, বিশাল দাদলানি এবং হিমেশ রেশমিয়া ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’র বিচারক। গত বছর জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল শোয়ের অডিশন। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে শোয়ের সম্প্রচার। দেখতে দেখতে মাঝখানে প্রায় ৭ মাস কেটে গিয়েছে। কোনও রিয়্যালিটি শো’ই এত সময় ধরে চলে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ দেখতে দেখতেও বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা।
তাঁদের একাংশের অভিযোগ, গানের শো হলেও, এখানে গান বাদে প্রতিযোগীদের দুঃখের কাহিনী থেকে শুরু করে লাভ স্টোরি দেখানো- সব কিছু হয়েছে। তা সে বিদীপ্তা-ঋষির ভালোবাসার অ্যাঙ্গেল হোক বা চিরাগ-কাব্যার। এমনকি প্রতিযোগীদের বাবা-মায়েদেরও নিয়ে আসা হয়েছে। একটি গানের রিয়্যালিটি শোয়ে গত ৭ মাস ধরে এসব দেখে বেশ চটে গিয়েছেন দর্শকরা।
কেউ কেউ এও বলেছেন, শুধুমাত্র টিআরপির লোভে শোটিকে এতদিন ধরে না টানলেও চলত। সেক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে সলমন খান সঞ্চালিত ‘বিগ বস’এর কথা বলেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, সেই শোয়েরও যথেষ্ট ভালো টিআরপি ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও অক্টোবর মাসে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে সেই শো শেষ করে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’এ নো এলিমিনেশন দেখে দেখেও চটে গিয়েছেন অনেকে। একটি প্রতিযোগিতামূলক শোয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে কেউ না কেউ বাদ যাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’ যেভাবে কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজেদের মন মর্জি মতো কাজ করছেন তা দেখেই ক্ষুণ্ণ হয়েছেন অনেকে। দর্শকদের একাংশের মত, শো শেষ হলে এখন বাঁচা যায়!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘ইন্ডিয়ান আইডল’এর চলতি সিজনে মোট ৬জন প্রতিযোগী ফাইনালে পৌঁছেছেন। সোনাক্ষী কর, শিবম সিং, ঋষি সিং, চিরাগ কোতওয়াল, বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং দেবস্মিতা রায়ের মধ্যে একজনের হাতে উঠবে সেরার ট্রফি। এবার দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে কে!