যেসব কারণের জন্যে সারা বিশ্বের কাছে বাঙালির গর্বে বুক ফুলে ওঠে তার মধ্যে অন্যতম হল ইলিশ মাছ (Hilsa) । এই রূপোলি সুন্দরীর অসাধারণ স্বাদে মাতোয়ারা সক্কলে। বাইরে ইলেশিগুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাজারে ভীড় জমে ইলিশ কেনার। ইলিশ ওঠার প্রথম দিকে সাধারণের পক্ষে তাতে হাত দেওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠে। দিন কয়েক আগেও ইলিশের দাম যাচ্ছিল ১৫০০ টাকা প্রতি কেজি, তবে বর্তমানে মাছের দাম কমতেই সাধারণের ক্ষেত্রেও স্বাদ এবং সাধ্যের মেলবন্ধনের সময় এসে গিয়েছে।
বেশি ওজনের ইলিশ না পেলেও খোকা ইলিশ দিয়েও মনষ্কামনা পুন্য করে বাঙালি৷ আজ আপনাদের শেখাব কচুর মুখি আর আলু দিয়ে সোজা সাপ্টা একটি রেসিপি৷ এটি যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যকরও। কচুর মুখিতে থাকে ভিটামিন এ, সি ও বি সহ কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম মত খনিজ উপাদান। এখন এই রেসিপি তৈরি করার ধাপ গুলো একে একে জেনে নিন।
কচুর মুখি দিয়ে ইলিশ তৈরির উপকরণ –
১. কচুর মুখি
২. ইলিশ মাছ
৩. পেঁয়াজ বাটা
৪. রসুনবাটা
৫.হলুদের গুঁড়া
৬. লঙ্কার গুঁড়া
৭. জিরার গুঁড়া
৮. লবণ স্বাদমতো
৯. তেল পরিমাণমতো
কচুরমুখি দিয়ে ইলিশ তৈরির পদ্ধতি-
প্রথমে ভালো করে ইলিশ মাছের টুকরোগুলি ধুয়ে নিয়ে নুন এবং হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে।
এবার কচুর মুখি খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিন। তারপর নুন হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ছেঁকে আলাদা করে রাখুন।
অন্যদিকে পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ভেজে নিন। আলু ছাড়াও এই রান্না করা যায়। কড়ায় সর্ষের তেল গরম হলে মাছ গুলো হালকা ভেজে নিতে হবে।
এবার ওই তেলে প্রথমে কালো জিরে কাঁচা লঙ্কা ফোরণ দিন। তারপত একে একে পেঁয়াজ-রসুন বাটা, লঙ্কা-হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
সেদ্ধ করে রাখা কচু এবং ভাজা আলু গুলি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন৷ এরপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে খানিকক্ষণ ফুটলেই মাছ গুলো দিয়ে দিন। আলু কচু পুরো সিদ্ধ হয়ে এলেই গরম গরম পরিবেশন করুন কচুর মুখি দিয়ে ইলিশের ঝোল।