খুব কম ভারতীয়ই বোধ হয় আছেন, যারা এখনও প্রশান্ত নীল (Prashant Nil) পরিচালিত KGF – Chaper 2 ছবিটি দেখেননি। এই মুহুর্তে দেশ তথা বিশ্বের নয়া সেনসেশন কেজিএফ স্টার যশ (Yash)। এর হিন্দি সংস্করণ ইতিমধ্যেই সিনেমার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে, যদিও আসল ছবিটি কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির। তবুও হিন্দি, তামিল, তেলেগু এবং মালায়ালাম ভাষায় ডাবিং করে এই ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর সব ভাষাতেই এই ছবির সফলতা আকাশছোঁয়া। যশের KGF-2 এর হিন্দি সংস্করণ গত বুধবার পর্যন্ত আয় করেছে ৩৪৩.১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ KGF 2 ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’, ‘পিকে’ এবং ‘সঞ্জু’-এর মতো ছবিকে পেছনে হিন্দি ছবির ইতিহাসে আয়ের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
সুতরাং বলাই বাহুল্য, এই ছবির জেরে যশের জনপ্রিয়তাও এখন গগনচুম্বী। তার এই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগাতে একটি তামাকজাত সংস্থা তার কাছে কোটি কোটি টাকার অফার নিয়ে এসে বিজ্ঞাপন করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই কোটি টাকা দিয়েও কেনা যায়নি অভিনেতাকে। সেই অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রকিং স্টার যশ।
যশের নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট সংস্থার হেড অর্জুন ব্যানার্জি একটি প্রেস বিবৃতিতে লেখেন, “পান মসলা এবং এই জাতীয় পণ্যগুলি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, এবং পরবর্তীতে তা অত্যন্ত ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে।” এটি যশের সত্যিকারের উদার মনের পরিচয়, যিনি তার আদর্শ বজায় রেখে অনুরাগীদের ভালোর জন্য এত বড় স্বার্থত্যাগ করে দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পান মশলার বিজ্ঞাপন করে নেটপাড়ায় তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বলিউডের খিলাড়ী অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), আসলে একসময় নিজেই অক্ষয় গুটখা পান মশলা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক বলতেন। অজয় দেবগণ থেকে শাহরুখ খান বলিউডের প্রথমসারির তারকারা পান মশলার বিজ্ঞাপনে করে থাকলেও তিনি কখনও এইসব ভুলেও প্রমোট করেননি। কিন্তু শেষে সেই নিজের দেওয়া কথা নিজেই ভেঙেছিলেন অক্ষয়।
টাকার জন্য সেই গুটখা কোম্পানির হয়েই বিজ্ঞাপনে নেমেছিলেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar in Vimal Elaichi Advertisement)। সম্প্রতি বিমল এলাইচির বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বিজ্ঞাপনী ভিডিওটি। ভিডিও দেখা মাত্রই নেটিজেনরা অভিনেতাকে মনে করিয়ে দেন তার পূর্বে দেওয়া কথা। বিমলের বিজ্ঞাপনে অক্ষয় কুমারকে দেখেই শুরু হয় ট্রোলিং, কটাক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্ষয় কুমারের মিমে ভরে যায়। নেটিজেনদের ট্রলিং মিমের বাড়বাড়ন্ত দেখে শেষমেশ ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন অক্ষয়।