‘সঙ্গীতা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কেন অন্য়জনের সঙ্গে চলে এলে। তুমি ফিরে এসো।’ এমনই এক পোস্টার হাতে ধরে প্রাক্তন স্ত্রীয়ের শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে গেলেন অনির্বাণ বিশ্বাস। পেশায় দিনমজুর অনির্বান পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সরঙ্গপুরের বাসীন্দা।
২০১৯ সালে সঙ্গীতা ঘোষের সঙ্গে অনির্বানের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ৩ মাস যেতে না যেতেই স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি গিয়ে ওঠে। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই অনির্বাণের স্ত্রী তাকে ছেড়ে দীপক মণ্ডল নামে অপর যুবককে বিয়ে করে বর্ধমানের গুসকরার শান্তিপুরে গিয়ে ওঠেন৷ আর এই খবর শোনা মাত্রই বউকে ফিরে পাওয়ার আর্তি জানিয়ে ধর্ণায় বসেন অনির্বাণ। টুল পেতে একটি সাদামাটা জামা পরেই বউয়ের শ্বশুরবাড়ির সামনে ঠায় বসে থাকলেন তিনি।
এই কান্ড দেখে অবাক সঙ্গীতাও। অনির্বাণের সাফ বক্তব্য, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। আমার স্ত্রী যেখানে আমি তো সেখানেই যাব। আমি শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে মেরেছে। আবার গেলে মারবে। এখন বউ অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। নতুন নতুন গল্প অনেক শোনা যাবে। বউ বলত বেশ করছি মিথ্যা কেস করব। ওদের বাড়ি থেকে প্রচুর মারধর করেছে। তারপরেও বলছি ওকে প্রচুর ভালোবাসি। ওকে ছাড়া বাঁচব না। আমার স্ত্রী দীপক মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে করে চলে এসেছে। বড়লোক ছেলে দেখে চলে এসেছে। ওকে এত ভালোবাসি, তবু কেন চলে এল?’
এদিকে সঙ্গীতার দাবি, অনির্বাণকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু স্বামীর থেকে অত্যাচারিত সঙ্গীতা৷ সঙ্গীতার অভিযোগ, ‘অনির্বাণ বাড়ি থেকে সোনাদানা নিয়ে আসতে বলত। আমাকে গায়ে কেরোসিন দিয়ে মারতে গিয়েছে। গলায় ফাঁস লাগাতে গিয়েছে। অনেক জ্বালাযন্ত্রনা দিয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে গিয়েও জ্বালাত। ‘ সঙ্গীতা অনির্বাণকে জানোয়ার ছেলে বলেও অভিহিত করেন।