আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে চিরকালই পুত্রসন্তানের কদর বেশি। তাই-ই এই একুশ শতকের গোড়াতে দাঁড়িয়েও কন্যা সন্তান হলে অনেক পরিবারেরই হয় মুখ ভার। ‘ছেলে হয়েছে’ বলা আজও যতটা গর্বের, ‘মেয়ে হয়েছে’ বলা ঠিক ততটাই কুন্ঠার। পরপর পাঁচ বার কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ছেলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের পান্নালাল। এইবার আর একই ভুল করতে চাননি পান্নালাল। তাই ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃস্বত্বা হওয়ার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে আগেই দেখার চেষ্টা করেন যে জন্মাতে চলেছে সে ছেলে না মেয়ে!
এই পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে। ৩৫ বছরের পান্নালাল স্ত্রী ও পাঁচ কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার নেকপুরে। এহেন নারকীয় ঘটনার পর পান্নালালের স্ত্রীর চিৎকারে এলাকায় লোক জড়ো হয়। তারাই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পান্নালালের স্ত্রীকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই, ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরপর পাঁচ মেয়ে জন্ম দেওয়ার কারণে সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে পান্নালাল। পান্নালালের দাবি এবার তার ছেলে চাই-ই চাই। এইজন্য ষষ্ঠবার আর কোনোও ভুল যাতে না হয় তাই আগেভাগেই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে ৭মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পান্নালাল, কাটে স্ত্রীয়ের পেটও। ইতিমধ্যেই, স্থানীয় থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।”শুধুই লিঙ্গ জানার চেষ্টা নাকি এর পিছনে পান্নালালের অন্য উদ্দেশ্যও ছিল তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ”, এমনটাই জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক প্রবীণ সিং চৌহান।