বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! বলিউডের গ্রিক গড হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই কথাটাই। তাকে দেখে কে বলবে বয়স তাঁর বয়স এখন ৫০ ছুঁই ছুঁই। তাই এই বয়সেও বলিউডের অন্যতম হ্যান্ডসাম হিরো তিনি। আজও তাকে দেখে বুক ধুকপুক করে ওঠে আসমুদ্র হিমাচল অসংখ্য তরুণীর। কেউ মনে মনে আবার কেউ চিৎকার করে গেয়ে ওঠেন ‘কহো না পেয়ার হে’।
সকলেই জানেন জন্মসূত্রে হৃত্বিক হলেন পাঞ্জাবী। এবার জানা গেল বলিউডের এই হার্টথ্রব অভিনেতার সাথে নারীর টান রয়েছে বাংলার। পুরো না হলেও হৃত্বিক রোশন হলেন অর্ধেক বাঙালি (Half Bengali)। তাই অনেকেই হয়তো জানেন না হৃত্বিক কিন্তু আর পাঁচটা বাঙালি ছেলে মেয়ের মতোই তার ছোটবেলাও কেটেছে মাছ ভাতে। তবে সকলেই জানেন হৃত্বিক রোশনের ডাকনাম ডুগ্গু। তার এই ডাক নামও কিন্তু দিয়েছেন অভিনেতার একজন নিকট বাঙালি আত্মীয়।
তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ইরা রোশন (Ira Roshan)। হৃত্বিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশানের (Rakesh Roshan) মা। তিনি নাকি চাকরির জন্য মাত্র কুড়ি বছর বয়সে কলকাতা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। তাই তাঁর জীবনটাও সিনেমা থেকে কোন অংশে কম নয়। হৃত্বিক রোশনের এই ঠাকুমা (Grand Mother) ছিলেন একজন সংগীত শিল্পী। আর এই গানের হাত ধরেই তার সাথে পরিচয় হয়েছিল ঋত্বিকের ঠাকুরদা রোশনলাল নগরাথ ছিলেন সংগীত পরিচালক।
অল্পদিনের মেলামেশার পর থেকেই তৈরি হয় তাদের সম্পর্ক। তারপরেই বিয়ে আর সংসার।জানা যায় রাকেশ রোশন ভালো বাংলা বলতে পারলেও হৃত্বিক কিন্তু বাংলা বলতেই পারে না। তবে মুখে বাংলা বলতে না পারলে কি হবে, বাঙালি খাবার কিন্তু বেশ পছন্দ হৃত্বিকের। সকলের মতোই হৃত্বিক ভীষণ পছন্দ করেন বাংলার মিষ্টি দই। এখানেই শেষ নয়, আরও একটি মজার ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে হৃত্বিকের ডাকনামের মধ্যেই। অনেকেই হয়তো জানেন না ঋত্বিকের বাবা রাকেশ রোশানের ডাক নাম ছিল গুড্ডু।
তাই ছেলের নামের সাথে মিলিয়েই নাতির নাম ডুগ্গু রেখেছিলেন ইরাদেবী। এই ঠাকুমার হাতে রান্না মাছ খেয়েই বড় হয়েছেন অভিনেতা। যার স্বাদ নাকি তিনি আজও ভুলতে পারেননি। বাংলা নাকি হৃত্বিকের বরাবরই বড্ড প্রিয়। ইতিপূর্বে এ কথা কলকাতা এসেও একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি। একবার ঠাকুমার কথা বলতে গিয়ে হৃত্বিক জানিয়েছিলেন তার ঠাকুমার নাকি ইচ্ছা ছিল কলকাতা থেকেই তিনি নিজের কেরিয়ার শুরু করুন।
তবে সম্পূর্ণ না হলেও আংশিকভাবে ঠাকুমার স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন তিনি। কলকাতা থেকে ক্যারিয়ার শুরু না হলেও হৃত্বিকের প্রথম স্টেজ অপিয়ারেন্স ছিল কলকাতায়। তাই আজও বাংলার বুকে এলে বেশ কিছুটা হলেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেতা। আসলে হৃত্বিকের ঠাকুরমা ইরা দেবী প্রয়াত হয়েছেন আজ থেকে ১৭ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৫ সালে। তাই কলকাতায় এলেই আজও মনের মধ্যে ভিড় করে তাঁর ঠাম্মির পুরনো স্মৃতি।