সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘শামশেরা’ (Shamshera) ছবিটি। বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে সিনেমাটি। যেখানে মনে করা হচ্ছিল, বক্স অফিস কাঁপাবে রণবীর-সঞ্জয় দত্তের ছবি, সেখানে বলার মতো টাকাও ঘরে তুলতে পারেনি তারা। তবে ‘শামশেরা’ কিন্তু প্রথম নয়, এই নিয়ে পরপর পাঁচটি সিনেমা ফ্লপ হল যশ রাজ ফিল্মসের (Yash Raj Films)। যা নিয়ে নাকি বেশ চিন্তায় রয়েছে। কর্ণধার আদিত্য চোপড়া (Aditya Chopra)।
২০১৯ সালে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল যশ রাজের শেষ দুই সিনেমা, ‘ওয়ার’ এবং ‘মর্দানি ২’। কোভিড অতিমারির পর মুক্তি পেয়েছে ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফরার’, ‘বান্টি অউর বাবলি ২’, ‘জয়েশভাই জোরদার’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ এবং ‘শামশেরা’। যশ রাজ প্রযোজিত এই ৫ ছবিই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সম্প্রতি এই নিয়ে একাধিক ট্রেড এক্সপার্টদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। যা নিয়ে প্রত্যেকে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। তবে সবার বক্তব্যেই একটি বিষয় প্রায় একই রয়েছে। তা হল, এখন যে ক’টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার বেশিরভাগই কিন্তু কোভিড পূর্ববর্তী সময়কার।
আর কোভিডের সময় দর্শকদের পছন্দ-অপছন্দ বদলেছে। তাঁরা অনেক বেশি ওটিটি নির্ভর হয়ে পড়েছে এবং সেই ওটিটির সৌজন্যেই তাঁরা দেশ-বিদেশের ভিন্ন ভিন্ন কনটেন্ট দেখতে পারছেন। আর ঠিক সেই কারণেই কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে হয়তো যে ছবিগুলি ব্লকবাস্টার হতো, এখন সেগুলিই মুখ থুবড়ে পড়ছে। পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমার রমরমা বাজার তো রয়েছেই।
তবে পরপর পাঁচটি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর যশ রাজের এখন কেমন অবস্থা? আদিত্য চোপড়া প্রযোজনা সংস্থা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? কতটা চাপে রয়েছে তারা? এই বিষয়েও একাধিক নামী ট্রেড এক্সপার্ট কিন্তু একবাক্যে একটি কথা মেনে নিয়েছেন।
নামী ট্রেড এক্সপার্টদের বক্তব্য, সিনেমার ব্যবসায় এই ধরণের ওঠাপড়া লেগেই থাকে। যশ রাজের মতো এত বড় প্রযোজনা সংস্থার কাছে একথা অজানা নয়। এখন সময় খারাপ থাকলেও, শীঘ্রই আদিত্য চোপড়ার সংস্থা ঘুরে দাঁড়াবে বলেই মত তাঁদের। বেশিরভাগ ট্রেড এক্সপার্টই একথা বলছেন যে, শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ এবং সলমন খানের ‘টাইগার ৩’এর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে যশ রাজ। এবার দেখার সত্যিই তা হয় কিনা।