তাড়াহুড়োর সময়ে আমরা গুড়ো মশলায় রান্না সেরে ফেলি ঠিকই, কিন্তু রান্নার আসল স্বাদ এবং গন্ধ কিন্তু এনে দেয় বাটা মশলাই৷ কিন্তু রোজকার ব্যস্ততায় চটজলদি রান্না সারতে হয় বেশির ভাগ মহিলাকেই। কেননা এখন আর মহিলারা কেবল ঘর কন্যার কাজ, বা রান্নাবান্না করেন না। ঘর সামলিয়েও তাদের বাইরের হাজার একটা কাজ থাকে, তাই ঝটপট রান্না সারতে গুড়ো মশলার উপরেই ভরসা করতে হয় তাদের৷
কিন্তু আজ আপনাদের এই সমস্যার সমাধান বাতলে দেব একটা মাত্র প্রতিবেদনে৷ প্রতিদিন আদা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে বাটার ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে একবারে কোনোও ছুটির দিনে যদি অনেকটা আদা রসুন একসাথে বেটে রাখেন তাহলে কেমন হয়? এবার প্রশ্ন হল বেটে না হয় রাখলেন, কিন্তু তা ভালো থাকবে কিনা সেই সন্দেহ থেকেই যায়। আজ আপনাদের আদা রসুন বাটা সংরক্ষণের কিছু দুর্দান্ত উপায় বলব। যার জেরে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত আপনি এই পেস্টটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এক থেকে ২ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণের পদ্ধতি-
আদা ও রসুনের খোসা ছাড়িয়ে মিক্সারে দিন। এতে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে দিন। জলের ছিটেফোঁটাও দেবেন না। পেস্ট করা হয়ে গেলে তাতে সামান্য নুন মিশিয়ে একদম এয়ার টাইট বয়ামে ভরে ফ্রীজে রেখে দিন এভাবে ২ মাস পর্যন্ত এই পেস্ট আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত স্টোর করার পদ্ধতি-
আগের মতোই প্রথমে আদা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে সামান্য সরষের তেল দিয়ে মিক্সিতে বেটে নিন। এর পর এতে নুন মিশিয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে ব্যবহৃত বরফের ট্রে-র মধ্যে পেস্ট গুলিকে দিয়ে প্লাস্টিক র্যাপার দিয়ে ট্রেটিকে মুড়ে, এয়ার টাইট জিপ ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখুন, প্রয়োজন মতো রান্নায় কিউবটি ব্যবহার করুন।
ছয় মাস স্টোরের পদ্ধতি-
২ তিন চামচ সরষের তেল দিয়ে আদা রসুন বেটে নুন মিশিয়ে তিন চার চামচ ভিনিগার ও মিশিয়ে দিন।এবার এয়ার টাইট বয়ামে ভরে ফ্রীজে রাখুন। এই পেস্ট মাস ৬ আরামসে ব্যবহার করতে পারবেন।