প্রায় বছর খানেকের উপর হয়ে গেল করোনা ভাইরাসের জেরে জর্জরিত আমাদের পৃথিবী। আমাদের জীবনটা কার্যত তছনছ করে দিয়েছে এই অতিমারী। চারদেওয়ালই আমাদের একমাত্র ঠিকানা। অধিকাংশ অফিস কাচারিই এখন চলছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে। ঘর আর বাইরের ফারাক বিশেষ নেই। তাই ওয়েব কনফারেন্স আমাদের জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, ওয়েব কনফারেন্সে বসার অভ্যেসটা আমাদের কারওই নেই, কেউই জানি না ঠিক কী পরলে ক্যামেরার সামনে দেখতে ভালো লাগবে, ক্যামেরা কতটা দূরে রেখে বসা উচিত।
এবার ওয়েবক্যামেরার সামনে বা অনলাইন ইন্টারভিউতেও নিজেকে স্মার্ট এবং কনফিডেন্ট দেখাতে কী ধরনের পোশাক বা সাজগোজ বেছে নেবেন রইল তার কিছু কার্যকরী টিপস।
প্রথমেই যেটা মনে রাখতে হবে তা হল, আপনার অফিসের যদি বিশেষ কোনও ড্রেস কোড থাকে, তা হলে সেটা মেনে চলা উচিত। হ্যাঁ, নিচে শর্টস বা পাজামা যা খুশি পরুন না কেন, উপরে একটা ধোপদুরস্ত টপ বা শার্ট পরা একান্ত প্রয়োজনীয়। টি-শার্ট বা ট্যাঙ্ক টপ চলবে না একেবারেই। এমন কিছু পরবেন না যা খুব রিভিলিং। একটু লুজ জামা পরা ভালো, তবে একেবারে বিরাট বড়ো কিছুও পরবেন না।
অন্যদিলে, শাড়ি বা সালওয়ার কামিজের মতো দেশি পোশাক অবশ্যই পরতে পারেন। হালকা কোনও গয়না পরতে পারেন কানে আর গলায়। খুব বড়ো বড়ো জংলা প্রিন্ট থেকেও দূরে থাকতে পারলে ভালো হয়। তার চেয়ে দেখতে নিশ্চিতভাবেই ভালো লাগে এক রঙের জামা।
এবার প্রশ্ন, এই ধরনের মিটিংয়ের সময় ল্যাপটপ বা ফোন কোথায় রাখা উচিত। পারলে জানলার কাছে কোথাও বসুন। অনেকেই খুব ক্যাজুয়ালি পছন্দের পানীয়ে চুমুক দিতে দিতে বা খাবার চিবোতে চিবোতেও মিটিং করেন, তবে সেটা দেখতে অতি কুৎসিত লাগে। জানলা দিয়ে যদি প্রাকৃতিক আলো আসে, তা হলে দেখতে ভালো লাগবে। ওয়েবক্যাম থাকবে আপনার আই-লেভেলের একটু উপরে। পিছনে যেন অগোছালো জামাকাপড় বা বইপত্রের স্তূপ না জমে থাকে, সেটা একটু দেখে নেবেন। আর দেওয়াল বা পর্দার রঙের সঙ্গে যেন পোশাকের রং মিশে না যায়, সেটাও নিশ্চিত করে নেওয়া দরকার।