চুলের সমস্যা (Hair Problems) আজকাল সকলেরই। সুন্দর ঝলমলে চুল চাই না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বর্তমানের ধূলো ,ধোঁয়া আমাদের চুল কে নিষ্প্রাণ করে তুলেছে। উপরুন্তু এখন শীতকাল চলে এসেছে। শীতকালে তো চুলের বেশি করে জোটেনি নিতে হয়। শীতকাল মানেই চুলের হাজারো সমস্যা। খুসকি ,চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া , চুলের গোড়া ফেটে যাওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দিতে থাকে এই শীতকালে। তবে এই প্রচন্ড শীতেও কিভাবে নিজের চুলকে সুন্দর ও মজবুত করে তুলবেন, তারই কিছু ঘরোয়া টিপস দিতে চলেছি আপনাদের। এই টিপস গুলি মেনে চললে আপনিও নিজের চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই সব টিপস বা পদ্ধতি :
প্রথমেই যে জিনিসটি চুলের জন্য অপরিহার্য সেটি হল জল। হ্যাঁ ঠিকই বলছি, জল এ হলো চুলের জন্য অপরিহার্য দ্রব্য। জল চুলের খাদ্য। জলের সঠিক পরিমানই চুলকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। তবে রোজ রোজ জলে চুল ভেজানো চুলের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন এর বেশি চুল জলে পুরো ভেজানো উচিত নয়।
সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন চুলে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করুন। তেল ম্যাসাজ করলে তা চুলের গোড়া অবধি যায় এবং চুলকে মজবুত করে তোলে।হ্যাঁ তেল চুলের পুষ্টিকর খাদ্য। তেল না দিলে চুল উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। তাই সপ্তাহে এক দু বার অন্তত তেল উষ্ণ গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে।
এই শীতে চুলে গরম জল ব্যবহার করবেন না। অনেকেই ভাবেন গরম জল চুলের জন্য ভালো। কিন্তু আসলে কিন্তু তা নয়, গরম জল চুলের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক।চুলের রুক্ষতার অন্যতম কারণ হল গরম জল। তাই চুলের ক্ষেত্রে গরম জল চলবেনা কোনোভাবেই।
আপনি যত ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কন্ডিশনার চুলকে সফট রাখে। চুলের আদ্রতা বজায় রাখে।
ঘরে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুলের পুষ্টি আনতে পারেন ৷ ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিন তাতে ও ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না বা তোয়ালে দিয়ে মুছবেন না।এতে চুল পরে যেতে পারে , চুলের ডগা ভেঙে যায়।