একজন মানুষের যত ঝক্কি ঝামেলা রয়েছে তা সবচেয়ে বেশি ভোগ করে দু’টো পা (Leg)। সেই জন্য অনেকসময়ই পায়ের ব্যথা ভোগ করতে হয়। আবার অন্যদিকে সেভাবে রোজ পায়ের যত্ন নেওয়াও সম্ভব হয় না। কেউ কেউ মনে করেন, পায়ের দিকে তো কেউ তাকায়ই না, তাহলে এর পিছনে খরচ করে কী লাভ! তবে এই ধারণ একেবারেই ভুল। বরং সাধারণত সবার প্রথমে মানুষের চোখ পায়ের দিকেই যায়। সেই জন্য পার্লারে না গেলেও, বাড়ি বসে পেডিকিওর (Pedicure) করাটা কিন্তু জরুরি।
একথা ঠিক, পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করালে বেশ আরাম পাওয়া যায়। তবে বাড়িতে বসে, বিনা খরচেও কিন্তু আপনি পায়ের খেয়াল রাখতে পারেন। হয়তো একটু সময়সাপেক্ষ, তবে অসম্ভব একেবারেই নয়। আজকের প্রতিবেদনে তাই বাড়ি বসে ঘরোয়া পেডিকিওর (Pedicure At Home) করার সহজ পদ্ধতি তুলে ধরা হল।
পেডিকিওর শুরু করার আগেই পায়ের নখ থেকে নেলপালিশ তুলে ফেলুন। নেলপালিশ পরে কখনও পেডিকিওর করা উচিত নয়। সেই জন্য নেল কাটার, স্ক্রাবিং প্যাড নিয়ে বসুন। অপরদিকে এক গামলা গরম জল নিয়ে তার সঙ্গে বাথ সল্ট মিশিয়ে নিন। যদি বাথ সল্ট না থাকে তাহলে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টও ব্যবহার করতে পারেন।
এরপর এই গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে রাখলে পায়ের মধ্যে যে মৃত কোষ থাকে সেগুলো একদিকে যেমন দূর হয়ে যায়, তেমনই আবার পায়ের ত্বকও নরম হয়। এরপর পায়ের ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে কফি এবং মধু মিশিয়ে ফুট স্ক্রাব তৈরি করে ফেলুন। এতে পায়ের সব ময়লা এবং মৃত কোষ একেবারে চলে যাবে।
এরপর কাজে আসবে স্ক্রাবিং প্যাড। গোড়ালি, পায়ের পাতা স্ক্রাবিং প্যাড দিয়ে ঘষুন। তারপর কাপড দিয়ে পা মুছে নিন। রোদে বেরিয়ে আপনার পায়ে যদি ট্যান পরে গিয়ে থাকে তাহলে ডিট্যানও একবারেই করে ফেলুন। বেসন, হলুদ গুঁড়ো এবং টক দই দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এরপর সেটি পায়ে লাগিয়ে নিন। প্যাক শুকিয়ে যাওয়ার পর তা ধুয়ে নিন।
সবশেষে পায়ের নখগুলি ভালো করে কেটে নিন। কারণে নখের কোণায় ময়লা জমে থাকলে কিন্তু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এরপর নখের ওপর কিছু ফোঁটা কিউটিকল তেল মালিশ করে নিন। বাড়িতে যদি কিউটিকল তেল না থাকে তাহলে নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে পুরো পায়ে তা লাগাতে পারেন। এরপর একটি ভেজা কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ পা মুছে নিন। এরপর পায়ে ভালো করে ফুট ক্রিম ম্যাসাজ করে নিন। পছন্দের রঙের নেলপালিশ লাগিয়ে সম্পূর্ণ করুন নিজের ঘরোয়া পেডিকিওর।