• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

বাস কন্ডাকটর হয়ে বুঁদ থাকতেন মদ-সিগারেটের নেশায়! কিভাবে হলেন থালাইভা? মুখ খুললেন রজনীকান্ত

দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির তো বটেই, ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Indian film industry) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন রজনীকান্ত (Rajinikanth)। তিনি যে দর্শকদের কত ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। দক্ষিণ ভারতে রীতিমতো ভগবানের মতো পুজো করা হয় তাঁকে। ‘থালাইভা’র ছবির রিলিজের দিন সেখানে থাকে উৎসবের মেজাজ। সম্প্রতি সেই সুপারস্টারই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের এক অজানা অধ্যায়ের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

ওয়াই জি মহেন্দ্রণের নাটের ৫০ দিন উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রজনীকান্ত। সেখানেই নিজের জীবনের এক অজানা অধ্যায় নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অভিনেতা জানান, তাঁর জীবনে এমন একটা সময় ছিল যখন তিনি মদ-সিগারেটের নেশায় একেবারে ডুবে থাকতেন। আমিষ খাবার ছাড়া কোনও কিছু মুখে উঠত না। প্রত্যেকদিন যে কতগুলি সিগারেট পোড়াতেন তার হিসেব রাখতেন না।

   

Rajinikanth Smoking, Rajinikanth Drinking

শুনতে অবাক লাগলেও, সকলের প্রিয় ‘থালাইভা’ একটা সময় এমনই বেপরোয়াভাবে জীবন কাটিয়েছেন। জীবনের এই অজানা অধ্যায়ের কথা বলার পর মহেন্দ্রণকে ধন্যবাদ জানান অভিনেতা। কারণ সেই মানুষটির জন্যই তাঁর জীবন বদলে দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কার ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল রজনীকান্তের জীবন?

সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রজনীকান্ত জানান, বাস কন্ডাক্টার হিসেবে কেরিয়ার শুরু তাঁর। জীবনের সেই সময়ই যথেচ্ছ মদ-সিগারেটের নেশা করতেন তিনি। অভিনয় দুনিয়ায় আসার পরেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেননি তিনি। মদ-সিগারেট ছাড়া একদিনও কাটাতে পারতেন না ‘থালাইভা’। সেই সঙ্গে পারলে তিন বেলাই আমিষ খেতেন।

Rajinikanth smoking

তবে রজনীকান্ত জানান, তাঁর এই খারাপ অভ্যাস বদলে দেন তাঁর স্ত্রী লতা। তাঁকে সুস্থ শরীরের মূল্য বুঝিয়েছিলেন তিনিই। অভিনেতা বলেন, মদ-সিগারেটের সঙ্গে মাংস- এই তিনটি যদি একসঙ্গে চলে তাহলে শরীর প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষত ষাট বছর হয়ে যাওয়ার পর। আর স্ত্রী লতার সঙ্গে অভিনেতার প্রথম আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্রণই।

Rajinikanth wife

১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুতে জন্ম রজনীকান্তের। মারাঠি পরিবারে জন্ম হলেও বাড়ির বাইরে কন্নড় ভাষায় কথা বলতেই স্বচ্ছন্দবোধ করতেন অভিনেতা। আজকের সুপারস্টার একসময় সংসার চানাতে কুলি থেকে শুরু করে বাস কন্ডাক্টর- সব কাজ করেছেন। পরে মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে পড়ার সময়ই নামী পরিচালক কে বালাচান্দরের নজরে পড়ে যান তিনি। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি ‘থালাইভা’কে।

site