এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম সেরা রিয়ালিটি শো বলতেই প্রথমে নাম আসে রচনা বন্দোপাধ্যায় (Rachna Banerjee) সঞ্চালিত জি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন গেম শো দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। বাংলা জুড়ে টলিউডের এই প্রথমসারির অভিনেত্রীর (Tollywood Actress) অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা তথা ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ তিনি। একসময় সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক সুপারহিট সব সিনেমা।
বাংলার পাশাপাশি একসময় অভিনয় করেছেন বলিউডেও। জুটি বেঁধেছিলেন স্বয়ং বলিউড শহেনশা অমিতাভ বচ্চনের সাথেও। তবে শুধুমাত্র বাংলা কিংবা হিন্দি ছবিতেই নয় রচনা অভিনয় করেছেন ওড়িয়া, এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাতেও। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার চিরঞ্জিত,এবং উপেন্দ্রর সাথেও। প্রসঙ্গত নব্বইয়ের দশকে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় জুটিদের মধ্যে অন্যতম ছিল রচনা ব্যানার্জি এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জুটি।তারা একসাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন মোট ৩৫ টি ছবিতে।
অভিনেত্রীর কাছে আজও বয়স একটা সংখ্যা। আর আজ ৪৭ বছর বয়সে এসেও চেহারায় কোনও পরিবর্তনই আসেনি তাঁর। একসময় মিস ক্যালকাটাও হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু রচনা নামে নয়। একবার এক টক শোতে এসে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাল নাম ছিল ঝুমঝুম। স্কুলের শংসাপত্র থেকে শুরু করে মিস ক্যালকাটার খেতাব সবতেই উল্লেখ রয়েছে এই ঝুমঝুম (Jhumjhum) নামটিই।তাহলে অভিনেত্রীর নাম রচনা হল কী করে?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর অভিনেত্রীকে এই রচনা নাম দিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুখেন দাস (Sukhen Das)। তিনি ছিলেন অভিনেত্রীর বাবার বন্ধু। আর তিনিই রচনাকে ছবির অফার দিয়ে বলেছিলেন, ‘ঝুমঝুম নামটা চলবে না, সকলে বলবে মুনমুনের মেয়ে।’ তাই সেসময় ঠিক করা হয় রবীন্দ্র রচনাবলী থেকে খোঁজা হবে ঝুমঝুমের নাম। আর ঠিক তখনই সুখেন দাশের মনে হয়, ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নাম। সেই থেকে ঝুমঝুম হয়ে গেলেন রচনা।
আর আজ রচনা শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী নয় তিনি হলেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চালিকা।দিদি নাম্বার দিদি নাম্বার ওয়ান-এর হাত ধরে তাঁর খ্যাতি পৌঁছে গিয়েছে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। তাই প্রতিদিন বিকেলে বাংলার মানুষদের অবসর জীবনের অন্যতম সঙ্গী হয়ে ওঠেন স্বয়ং রচনা ব্যানার্জি নিজে এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তার লড়াকু সব দিদিরা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনবদ্য সঞ্চালনা এই অনুষ্ঠান কে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা।
তাঁকে ছাড়া দিদি নাম্বার ওয়ান যে অসম্পূর্ণ এ কথা প্রমাণিত হয়েছে আগেও। এই কারণে দেবশ্রী রায় থেকে শুরু করে জুন মালিয়ার মতো অভিনেত্রীরা এই শো সঞ্চালনা করতে আসলেও তাদেরকে গ্রহণ করেন নি দর্শক। কিন্তু রচনা ব্যানার্জি অভিনেত্রী থেকে দিদি নাম্বার ওয়ান হয়ে উঠলেন কিভাবে? তা জানার জন্য কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। সে কথাই আজ জানাবো। প্রসঙ্গত অভিনেত্রী ২০১০ সালে একবার ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারকের আসনে বসেছিলেন। সেখান থেকেই তাকে দিদি নাম্বার ওয়ান-এর সঞ্চালিকা হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল। আর তিনিও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন এক কথাতেই। তারপর থেকে বাকিটা তো ইতিহাস।